ওয়েব ডেস্ক: দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত গোলমাল ছাড়া মোটের ওপর শান্তিপূর্ণই রইল পঞ্চম দফার ভোট। উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় শান্তিতে ভোট করানো ছিল কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। দিনের শেষে ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ নির্বাচন কমিশন। তবে, তারমধ্যেও আক্রান্ত হলেন উত্তর ২৪ পরগনার দুই সিপিএম প্রার্থী। পঞ্চম দফায় ৪৯ আসনে ভোট হল মোটের ওপর শান্তিতে। তবে, এড়ানো গেল না বিক্ষিপ্ত অশান্তি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুকান্ত নগরের জহরদাস কলোনিতে ইট পড়ল সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের গাড়িতে। গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হন দমদম উত্তরের প্রার্থী। কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, জবাব দিতে চাননি প্রার্থী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আক্রান্ত আরেক সিপিএম প্রার্থী দেবাশিস ভৌমিক। বারাকপুরের সিপিএম প্রার্থীকে মারধর করে পরিচয় পত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উড়িয়েছে শাসকদল।


ভোট শুরু হতেই ফর্মে রূপা গাঙ্গুলি। হাওড়ায় পুরসভার ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে ফলস ভোটিংয়ের অভিযোগ করে বামনগাছি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পৌছে যান উত্তর হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী। পরে সালকিয়ায় তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন তিনি।


মিডিয়াকে সঙ্গী করে বুথে ঢুকে বিতর্কে জড়ালেন আরেক বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি। তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেন নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট। মেজাজ হারান লকেট। পরে প্রিসাইডিং অফিসারের মধ্যস্থতায় ভোট দেন।


উত্তর ২৪ পরগনায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত গোলমাল। দুপুরের দিকে বোমা পড়ল হালিশহরের আদর্শ বিদ্যাপীঠ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে। হালিসহরের একাধিক বুথে ভোটদানে বাধার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। মানতে চায়নি শাসক শিবির। বোমা পড়ল হাওড়ার আমতাতেও। সিপিএম-তৃণমূল বোমাবাজিতে ভোট চলাকালীন উত্তপ্ত হল জয়পুরে রাজবংশীপাড়া। বোমাবাজিতে জখম হন দুজন।


বরাগনরে খালসা মডেল স্কুলের বুথে হামলার অভিযোগ। মাথা ফাটল জোটপ্রার্থীর এজেন্ট সঞ্জীব গুহর। বারাকপুরের ১১৮ নং বুথে কারচুপির খবর করতে গিয়ে আধাসেনার বাধার মুখে পড়তে হল আমাদের প্রতিনিধিকে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মিনাখাঁর হরপুকুরেও। ভোটদানে বাধার খবর করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়লেন আমাদের প্রতিনিধি। তবে বিধাননগরে ফার্স্ট ডিভিশনে পাস কমিশন। নির্বিঘ্নের বিধাননগরের ভোটে খুশি সবপক্ষই।