কলকাতা মেট্রোয় ১১টি নতুন ট্রেন, ২২টি পরিষেবা
ঘটি-বাঙাল, উত্তর-দক্ষিণের মতই এ লড়াই চিরকালীন। তবুও শহর আর শহরতলির দ্বন্দ্বে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছিল মেট্রো রেল। বলা ভাল, দুই বিপরীত মেরুকে খানিকটা হলেও কাছাকাছি এনেছিল। আর তাই ভিড়ে ঠাসা মেট্রোয় শহুরে অফিসযাত্রীর পাশে স্বাচ্ছ্যন্দেই জায়গা মিলেছিল শহরতলির দোকানীর। কিন্তু ছন্দটা কাটলই। সৌজন্যে সেই মেট্রো রেল।
ওয়েব ডেস্ক: ঘটি-বাঙাল, উত্তর-দক্ষিণের মতই এ লড়াই চিরকালীন। তবুও শহর আর শহরতলির দ্বন্দ্বে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছিল মেট্রো রেল। বলা ভাল, দুই বিপরীত মেরুকে খানিকটা হলেও কাছাকাছি এনেছিল। আর তাই ভিড়ে ঠাসা মেট্রোয় শহুরে অফিসযাত্রীর পাশে স্বাচ্ছ্যন্দেই জায়গা মিলেছিল শহরতলির দোকানীর। কিন্তু ছন্দটা কাটলই। সৌজন্যে সেই মেট্রো রেল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন টালিগঞ্জ থেকে নিউগড়িয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় মেট্রো রেল। শহরের প্রাণকেন্দ্র ছাড়িয়ে মেট্রোয় যাতায়াত নিত্যসঙ্গী হল শহরতলিরও। উদ্দেশ্য ছিল, শহরতলির মানুষরাও যাতে মেট্রোর সুবিধা পান। ইতিমধ্যেই নিউ গড়িয়া স্টেশনের ক্ষেত্রে পূর্ব রেল ও মেট্রো রেল একটা কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। ক্যানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ডহারবার থেকে আসা ট্রেন এখানে থামলে সেই যাত্রীরা যাতে মেট্রোর সুবিধা নিতে পারেন।
সংঘাতের শুরুটা সেই সময় থেকেই। অফিস টাইমে ভিড়ঠাসা মেট্রো মহানায়ক উত্তমকুমার, রবীন্দ্র সরোবর, যতীন দাস পৌছতে বিপত্তি। ওই সমস্ত এলাকার মানুষের অভিযোগ, বসার জায়গা তো দূর অস্ত, ভিড় থিকথিক ট্রেনে পা রাখারই যে জো নেই। কবি সুভাষ, কবি নজরুল, গীতাঞ্জলি থেকেই মেট্রোর কামরায় ইতিমধ্যেই জায়গা নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
এভাবেই চলছিল রোজনামচা। ছন্দটা কাটলই। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য দাবি মেনে মহানায়ক উত্তমকুমারে নতুন প্ল্যাটফর্ম। দমদম পর্যন্ত চালু হচ্ছে এগারোটি নতুন ট্রেন। বাইশটি পরিষেবা। এর ফলে কবি সুভাষ থেকে মেট্রো চলাচলে সময়ের ব্যবধান বাড়ছে।
শহর ও শহরতলির চিরাচরিত এই দ্বন্দ্ব মেটবার নয়। শুধু তো গড়িয়া, বাঘাযতীন নয়। মেট্রোর ওপর নির্ভরশীল নরেন্দ্রপুর, সোনারপুর, বারুইপুর সহ দক্ষিণ শহরতলির অসংখ্য মানুষ। এই দিকটা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনই মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে নতুন পরিষেবায় সুবিধা হবে টালিগঞ্জ লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের। উপকৃত হবেন গল্ফ গ্রিন, আনোয়ার শাহ, টালিগঞ্জ, কবরডাঙা, বেহালা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ।