আঞ্চলিক সমস্যা থেকে বহুদলীয় রাজনীতি, দিশাহীন আইনসভা

Updated By: Jul 23, 2015, 08:09 PM IST
আঞ্চলিক সমস্যা থেকে বহুদলীয় রাজনীতি, দিশাহীন আইনসভা

নেহাতই আঞ্চলিক ইস্যু। রাজনীতির লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে কোনও না কোনও আঞ্চলিক দলই তা নিয়ে সরব। কিন্তু কী আশ্চর্য, তার জেরেই  লাগাতার অচল সংসদ। ইউপিএ এবং এনডিএ, দুই জমানাতেই ঘুরেফিরে এসেছে এই একই ছবি। বহুদলীয় রাজনীতির গোলোকধাঁধায় কি তবে পথ হারাচ্ছে সংসদ, সরকার--উঠছে প্রশ্ন। অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে মনমোহন সিং। কেন্দ্রের হাত বেঁধে রেখেছিল জোট রাজনীতি।  জোটের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে স্বস্তিতেও নেই  নরেন্দ্র মোদী। গরিষ্ঠতা নেই রাজ্যসভায়। তাই জমি বিল নিয়ে সংসদে নাজেহাল সরকার। আসলে  বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাধ্যতার সেই ট্রাডিশনই সমানে চলছে। ক্রমশ ছোট ,বড়, এমনকি আঞ্চলিক দলগুলিরও  স্বার্থের সংঘাতের জেরে অচল হচ্ছে সংসদ।

খোদ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বানের নাম জড়ানোয় নাজেহাল কংগ্রেস-এনসিপি সরকার। রাজ্য- রাজনীতির সমীকরণ অনুযায়ী পাল্টা চেপে ধরে বিজেপি শিবসেনা জোট। শেষপর্যন্ত রাজ্যের টানাপোড়েনের ঢেউ সংসদেও।

কাবেরীর জলের অধিকার ছাড়তে নারাজ জয়া আম্মা। আবেগ জড়িয়ে কর্নাটকেরও। সেখানে আবার কংগ্রেসেরই সরকার। কাজেই দল বাঁচাতে সাবধানী  কংগ্রেস। কিন্তু তামিলনাড়ুর জনতার মন জয় করতে  আগ্রাসী এআইএডিএমকে। টার্গেট সেই  সংসদই।

অন্ধ্র ভেঙে তেলেঙ্গানা গঠন। ভোটের অঙ্ক আর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান চন্দ্রশেখর রাওকে কাছে টানার আগ্রহে দ্বিধায় ভুগেছে ইউপিও। পরিণতি, টিআরএস থেকে শুরু করে বিরোধী বেঞ্চের  ক্ষোভ-বিক্ষোভে বিপর্যস্ত সেই সংসদই।

ক্ষমতায় এসেই জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী   মুফতি মহম্মদ সইদ মুক্তি দেন জঙ্গি মাসারতকে। আফস্পা প্রত্যাহারের অঙ্গীকারও করে বসেন আচমকাই। দেশজুড়ে তোলপাড়। কাশ্মীরে   জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে ব্যাকফুটে বিজেপি। অতঃপর তোলপাড়সেই সংসদেই।

সারদা কেলেঙ্কারি থেকে ঋণের সুদমকুব। বারবার সরব তৃণমূল। পরিণতিতে অচল সংসদ। কী আশ্চর্য, তৃণমূল জোটসঙ্গী নয়। তবুও পাল্টা আওয়াজ তোলেনি বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মোদী-মমতা সাম্প্রতিক সখ্যেই লুকিয়ে এর উত্তর।

কখনও আঞ্চলিক দলের ক্ষুদ্র স্বার্থের সংঘাত। কখনও বহুদলীয় রাজনীতির টানাপোড়েন। পরিণতি সেই একই। এভাবেই দিশা হারাচ্ছে আইনসভা।

 

.