স্মার্টফোন বাজি রেখে কংগ্রেসে ভরসা হারালেন 'নেহেরুপন্থী' রামচন্দ্র গুহ

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস আর কোনও দিনই উল্লেখযোগ্য জাতীয় দল হিসাবে ফিরে আসতে পারবে না। বড় জোর দল হিসাবে কংগ্রেসের অবক্ষয় দীর্ঘায়িত হতে পারে কিন্তু অতীতের সোনালী দিনগুলি আর কখনই ফিরবে না। আর এটা তিনি তাঁর স্মার্টফোন বাজি রেখে বলতে পারেন বলে জানালেন প্রথম সারির ঐতিহাসিক ও লেখক রামচন্দ্র গুহ।

Updated By: Jan 24, 2017, 06:57 PM IST
স্মার্টফোন বাজি রেখে কংগ্রেসে ভরসা হারালেন 'নেহেরুপন্থী' রামচন্দ্র গুহ

ওয়েব ডেস্ক: ভারতের জাতীয় কংগ্রেস আর কোনও দিনই উল্লেখযোগ্য জাতীয় দল হিসাবে ফিরে আসতে পারবে না। বড় জোর দল হিসাবে কংগ্রেসের অবক্ষয় দীর্ঘায়িত হতে পারে কিন্তু অতীতের সোনালী দিনগুলি আর কখনই ফিরবে না। আর এটা তিনি তাঁর স্মার্টফোন বাজি রেখে বলতে পারেন বলে জানালেন প্রথম সারির ঐতিহাসিক ও লেখক রামচন্দ্র গুহ।

সোমবার ২০১৭ সালের নেতাজি বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, "কংগ্রেসের অবক্ষয় কিছুদিনের জন্য আটকে রাখা যেতে পারে। দীর্ঘায়িত হতে পারে আবক্ষয়। কিন্তু আমি মনে করি না যে তারা আবারও উল্লেখযোগ্য জাতীয় দল হিসাবে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে বলে", নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর আয়োজিত অনুষ্ঠানে 'কংগ্রেসের দীর্ঘ জীবন এবং দীর্ঘায়িত মৃত্যু'-র বিষয়ে বলতে গিয়ে আটান্ন বছর বয়সী ঐতিহাসিক এই মন্তব্য করেছেন। বলার সময় তাঁর কণ্ঠে রসিকতার আভাস পেয়েছেন শ্রোতারা।

শ্রোতাদের মধ্যে থেকে হঠাত্ই প্রশ্ন আসে, "যখনই দেশে অকংগ্রেসি সরকার ক্ষমতায় থাকে তারপর প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া উঠলেই আবার মানুষ কংগ্রেসকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রেও কি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ায় ভর করে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে কংগ্রেস?" প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববরেণ্য এই ঐতিহাসিক সপাট 'না' বলে দেন। তারপর গান্ধী-নেহেরুর এই ভক্ত বিশ্লেষণ করে বলেন, "বর্তমানে কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ সংখ্য ৪৪। যদি এই সংখ্যাটা বাড়েও, তাহলে কত বাড়তে পারে? ১০০...২০০? আমি আমার স্মার্টফোনটা বাজি রেখে বলতে পারি" কংগ্রেসর আর কখনই জাতীয় সরকারের মূলশক্তি হিসাবে ফেরা সম্ভব নয়।

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি সাজাতে গিয়ে ঐতিহাসিক গুহ এদিন বিহার ও উত্তপ্রদেশের উদাহরণ টানেন। তাঁর মতে কংগ্রেস নিজেও তাদের এই 'নিশ্চিত ভবিতব্যের কথা' বুঝতে পেরেছে। আর তাই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ছে এবং তাত্পর্যপূর্ণভাবে সেই জোটের কেবল সহযোগী শক্তি হিসাবে থাকছে তারা আর চালিকাশক্তি হিসাবে থাকছে লালুপ্রসাদ যাদব, নীতিশকুমার বা অখিলেশ সিং যাদবের মতো আঞ্চলিক বাহুবলীরা।

আরও পড়ুন- ফের বরফঢাকা কাশ্মীরে সংঘর্ষ

এর পাশাপাশি রাহুল গান্ধী সম্পর্কে রামচন্দ্র গুহর মতামত, "উনিই গান্ধী পরিবারের প্রথম কোনও নেতা যাকে দলেরই একটা অংশ অপছন্দ করে"। সনিয়া গান্ধীর বয়স এবং শারীরিক সমস্যা তাঁর নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন এই ঐতিহাসিক। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা সম্পর্কে তাত্পর্যপূর্ণভাবে কোনও মন্তব্য করেননি শ্রীগুহ।

রামচন্দ্র গুহর এর আগে কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের উপর বিশ্লেষণী কাজ করেছেন এবং তিনি নিজে গান্ধী ও নেহেরুর ভাবধারায় আস্থাশীল হিসাবে পরিচিত। ফলে তাঁর এই ধরণের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক ও শিক্ষা মহলে। এবিষয়ে কংগ্রসের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- রাজনীতিতে এ বার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর? ইউপিতে আসন রফা 'হাত'-'সাইকেলের'

.