চিদাম্বরমের ইস্তফা দাবি বিরোধীদের

রাজনীতির চেনা ছক মেনেই এবার পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংসদে সরব হলেন বিরোধীরা। এদিন সংসদের দুই কক্ষেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলে বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), তেলুগু দেশম-সহ বিরোধী শিবির।

Updated By: Apr 27, 2012, 03:33 PM IST

রাজনীতির চেনা ছক মেনেই এবার পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংসদে সরব হলেন বিরোধীরা। এদিন সংসদের দুই কক্ষেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলে বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), তেলুগু দেশম-সহ বিরোধী শিবির।
বৃহস্পতিবার জনতা পার্টির তরফে অভিযোগ তোলা হয়, ২০০৬ সালে মোবাইল পরিষেবা সংস্থা এয়ারসেলের সঙ্গে ম্যাক্সিসের চুক্তিতে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন তত্‍কালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের ছেলে কার্তি। অভিযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ উন্নয়ন পর্ষদের সায় ছাড়া শিবশঙ্করনের মালিকানাধীন এয়ারসেল সংস্থার শেয়ার কিনতে পারতেন না মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিসের কর্ণধার, অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী আনন্দকৃষ্ণন। অভিযোগকারী পক্ষের দাবি, অনুমতির বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন তত্‍কালীন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। এরপর এয়ারসেলের বেশ কিছু শেয়ার `অসব্রিজ হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস` নামে একটি কোম্পানি কিনে নেয়। যার ৯৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক চিদাম্বরমের ছেলে কার্তি। আর কার্তি-র সংস্থা এয়ারসেল শেয়ার হাতে পাওয়ার পরেই ম্যাক্সিস গোষ্ঠী এয়ারসেলের সিংহভাগ শেয়ার কেনায় অনুমতি পেয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, এয়ারসেল-ম্যাক্সিস `ডিল` নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ডিএমকে সাংসদ তথা প্রথম ইউপিএ সরকারের টেলিকমমন্ত্রী দয়ানিধি মারানের নামে মামলা করেছে সিবিআই। অভিযোগ, শিবশঙ্করণের উপর চাপ সৃষ্টি করে এয়ারসেলের শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করেছিলেন মারান। ম্যাক্সিসকে শেয়ার বিক্রির আগে টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পাওয়া সত্ত্বেও বিভাগীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের কাছ থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয় অনুমতি পাননি শিবশঙ্করন। কিন্তু আনন্দকৃষ্ণনকে স্বত্ব বিক্রির এক মাসের মধ্যেই সেই অনুমতি মিলে যায়। আর এই ঘটনার পরেই মারানের পারিবারিক সংস্থা সান টিভিতে ৫৯৯ কোটি টাকা লগ্নি করেন আনন্দকৃষ্ণন। শিবশঙ্করণ নিজেই এই চাপ তৈরির কথা প্রকাশ্যে আনার পর ২০১১ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের বস্ত্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন দয়ানিধি মারান।

.