টেলিফোনে হুমকি দিচ্ছেন শুভেন্দু: জানিয়েছিলেন বন্দর ম্যানেজার

এবিজির আনা প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগকে কার্যত এবার সত্যি প্রমাণ করল স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠানো বন্দরের চেয়ারম্যান মণীশ জৈনের একটা চিঠি। এখানেই শেষ নয়, অন্য একটি চিঠিতে বন্দরের এক ম্যানেজারের মনীশ জৈনের কাছে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টেলিফোনের হুমকির অভিযোগ ও আনেন। প্রথম চিঠিটি লেখা হয় ১৯ সেপ্টেম্বর। স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো সেই চিঠিতে মণীশ জৈন শ্রমিক অসন্তোষে বিপর্যস্ত বন্দর এলাকার সমস্যার সমাধান করতে প্রশাসনিক সাহাজ্যের অনুরোধ করেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় আইএনটিটিইউসির নেতা শ্যামল আদকের নেতৃত্বে শ্রমিক বিক্ষোভে বন্দরের স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হচ্ছে। অভিযোগ, প্রশাসনিক স্তরে এই চিঠির পাওয়ার পরেও সমস্যা মেটানোর কোনও চেষ্টা করা হয়নি।

Updated By: Nov 1, 2012, 07:39 PM IST

এবিজির আনা প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগকে এবার কার্যত সত্যি প্রমাণ করল স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠানো বন্দরের চেয়ারম্যান মণীশ জৈনের একটি চিঠি। এখানেই শেষ নয়, অন্য একটি চিঠিতে বন্দরের এক ম্যানেজারের মনীশ জৈনের কাছে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টেলিফোনের হুমকির অভিযোগও আনেন।
প্রথম চিঠিটি লেখা হয় ১৯ সেপ্টেম্বর। স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো সেই চিঠিতে মণীশ জৈন শ্রমিক অসন্তোষে বিপর্যস্ত বন্দর এলাকার সমস্যার সমাধান করতে প্রশাসনিক সাহাজ্যের অনুরোধ করেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় আইএনটিটিইউসির নেতা শ্যামল আদকের নেতৃত্বে শ্রমিক বিক্ষোভে বন্দরের স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হচ্ছে। অভিযোগ, প্রশাসনিক স্তরে এই চিঠির পাওয়ার পরেও সমস্যা মেটানোর কোনও চেষ্টা করা হয়নি।
দ্বিতীয় অভিযোগ পত্রটি আরও গুরুতর। বন্দরের শিপিং অ্যান্ড কারগো হ্যান্ডেলিং ম্যানেজার দামোদর নায়েক মণীশ জৈনকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেন যে আট নম্বর বার্থে জাহাজ দেওয়ার জন্য টেলিফোনে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এবিজি-র জন্য বরাদ্দ দুটি বার্থে জাহাজ ভিড়তে দেওয়া যাবে না। দুই ও আট নম্বর বার্থে জাহাজ ঢুকতে দিলে বন্দরের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ঘেরাও করা হবে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে এই ভাষাতেই ফোনে এই হুমকি দেন বলে বন্দরের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন দামোদর নায়েক।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন শুভেন্দু বাবু। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিল্পমন্ত্রী, হলদিয়া ছেড়ে এবিজির বিদায় প্রশ্নে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করে কার্যত সাংসদেরই পক্ষ নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সরকার মহলের সকলেই। গত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন হলদিয়া বন্দরে কোনও সমস্যা নেই। তবে আজ প্রকাশিত এই চিঠি দুটির মাধ্যমে এবিজির আনা রাজনৈতিক প্রতারণার অভিযোগই সত্যি হয়ে গেল বলে মনে করছে শিল্প মহল।

.