রেল পুলিসের অমানবিক আচরণ কাটোয়ায়

ট্রেনের ধাক্কায় দু`পা কাটা অবস্থায় রেললাইনেই পড়ে রইলেন এক যাত্রী। দুর্ঘটনার পর ৪০ মিনিট কেটে গেলেও আসেনি রেল পুলিস! উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিত্সা শুরু হতে লাগলো আরও ৩ ঘন্টা! জিআরপি-র সাফাই, রেলের মেমো না আসাতেই তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি।

Updated By: Jul 11, 2012, 11:24 AM IST

ট্রেনের ধাক্কায় দু`পা কাটা অবস্থায় রেললাইনেই পড়ে রইলেন এক যাত্রী। দুর্ঘটনার পর ৪০ মিনিট কেটে গেলেও আসেনি রেল পুলিস! উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিত্সা শুরু হতে লাগলো আরও ৩ ঘন্টা! জিআরপি-র সাফাই, রেলের মেমো না আসাতেই তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, অপারেশন থিয়েটারের চাবি না পাওয়া যাওয়াতেই চিকিত্সা শুরু করা যায়নি। মঙ্গলবার দুই দফতরের এমনই চরম উদাসীনতা ও অমানবিকতার ছবি দেখা গেল কাটোয়া স্টেশনে। আর এত কিছুর পরেও ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত নদীয়ার তেহট্টের শিবপদ সর্দার যে বেঁচে রইলেন তা সম্ভবত তাঁর জীবনীশক্তির জোরেই।
মঙ্গলবার দুপুর ২-১০ মিনিট নাগাদ কাটোয়া স্টেশনে লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দুটি পা-ই কাটা যায় শিবপদবাবুর। স্টেশনে উপস্থিত যাত্রীদের কাছে বারবার প্রাণভিক্ষা করলেও তাঁকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেননি কেউই। দুর্ঘটনাস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যেই জিআরপি-র অফিস। তবুও রেলের তরফে মেমো না পাওয়ায় তাঁকে উদ্ধার করেনি রেল পুলিস। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেও চরম উদাসীনতার শিকার হন শিবপদ সর্দার। অপারেশন থিয়েটারের চাবি না মেলায়, প্রাথমিক চিকিত্সার পরে সাধারণ বেডেই ফেলে রাখা হয় তাঁকে। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর অপারেশন থিয়েটার খোলা সম্ভব হলেও, শিবপদ সর্দারের চিকিত্সার দায়িত্ব নিতে চাইছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত মহকুমা শাসকের হস্তক্ষেপে চিকিত্সা শুরু হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।

.