লাডির চন্দ্রাভিযান

চন্দ্রলোকের উদ্দেশে পাড়ি দিল নাসার নতুন মহাকাশযান লাডি। ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস দ্বীপ থেকে শুক্রবার রওনা হয় মানুষহীন ওই মহাকাশযান। চাঁদের বায়ুস্তর এবং ধুলিকণা নিয়ে অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাসার এই নতুন অভিযান।

Updated By: Sep 7, 2013, 07:48 PM IST

চন্দ্রলোকের উদ্দেশে পাড়ি দিল নাসার নতুন মহাকাশযান লাডি। ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস দ্বীপ থেকে শুক্রবার রওনা হয় মানুষহীন ওই মহাকাশযান। চাঁদের বায়ুস্তর এবং ধুলিকণা নিয়ে অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই নাসার এই নতুন অভিযান।
চাঁদের রহস্য সমাধানে ফের একটা বড়সড় পদক্ষেপ নাসার। এবারে বিজ্ঞানীদের মূল লক্ষ্য চাঁদের বাইরে থাকা বায়ুস্তর ও ধূলিকণা। যা নিয়ে তথ্য জোগাড় করে আনবে নাসার নতুন মহাকাশযান লুনার অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যান্ড ডাস্ট এনভায়রনমেন্ট এক্সপ্লোরার বা সংক্ষেপে লাডি। শুক্রবারই ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস দ্বীপ থেকে লাডির উত্ক্ষেপণ হয়। পাঁচটি পর্যায়ে মিনোশিয়োর রকেটের মাধ্যমে লাডি পৌঁছে যাবে চাঁদের কক্ষপথে। গন্তব্যে পৌঁছতে লাডির সময় লাগবে ৩০ দিন।
২০১০-এ চাঁদে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল লাডির। কিন্তু মন্দার কারণে উত্ক্ষেপণ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
মানুষহীন, আকারে ছোট মহাকাশযানটি পাঁচ বছরে চাঁদে পাঠানো নাসার তৃতীয় মহাকাশযান।
ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটির নীচে জলের উপস্থিতি ধরা পড়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। এবারে বিষয়টি নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে চায় নাসা। বিজ্ঞানীদের কাছে আরেকটি বড় বিস্ময় চাঁদের ধূলিকণা। সাধারণত জল ও বাতাসের সংস্পর্শ না থাকলে এমন ধূলিকণা তৈরি হওয়াটা সম্ভব নয় বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করেন ।
কিন্তু চাঁদে তা কী করে সম্ভব হল, আগামীদিনে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজবে মহাকাশযান লাডি।
 

.