দুবাইয়ের হোটেলে শেষ আধ ঘণ্টা কেমন কেটেছিল শ্রীদেবীর?
শ্রীদেবীকে ওই অবস্থায় দেখে চমকে যান বনি। প্রথমে একাই তাঁকে বার করে আনার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হলে, ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে ফোন করেন তিনি। রাত ৯টা নাগাদ পুলিসকে ফোন করেন বনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র কয়েকটা মিনিট। আর তাতেই এক স্বর্ণঅধ্যায়ের সমাপতন। মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে পর্যন্তও নিজের শরীরে কিছুটাও অস্বস্তি বোধ করেননি অভিনেত্রী শ্রীদেবী। কিন্তু হঠাত্ দুবাইয়ের হোটেলের বাথরুমে ঠিক কী ঘটল? মৃত্যুর ঠিক আগের ৩০ মিনিট ঠিক কেমন ছিল শ্রীদেবীর? সংযুক্ত আমির শাহীর একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, দুবাইয়ে বিয়ের মূল অনু্ষ্ঠানের পর মুম্বইতেই ফিরে এসেছিলেন বনি কাপুর। দুবাইয়ের হোটেলে একাই ছিলেন অভিনেত্রী। মাঝের সময়টা ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে কাটিয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীকে চমকে দেওয়ার জন্য শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ফের বিমানে দুবাইয়ের জুমিরাহ্ এমিরেটস টাওয়ারস হোটেলে পৌঁছন।
আরও পড়ুন: শ্রীদেবির মৃতদেহ দুবাই থেকে ফেরানো নিয়ে জটিলতা
বিকালে সেসময় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন শ্রীদেবী। স্বামীকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হন। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও মারেন দুজনে। এরপর ডিনার বাইরে করার প্ল্যান করেন তাঁরা। বেরোনোর আগে ফ্রেস হওয়ার জন্য বাথরুমে যান শ্রীদেবী। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর না বেরোনোয় বনি কাপুর দরজা ধাক্কান। তারপর জল উপচে বাইরে চলে আসায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তিনি।
শ্রীদেবীকে ওই অবস্থায় দেখে চমকে যান বনি। প্রথমে একাই তাঁকে বার করে আনার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হলে, ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে ফোন করেন তিনি। রাত ৯টা নাগাদ পুলিসকে ফোন করেন বনি।
আরও পড়ুন: শ্রীদেবী ও দিভ্যার মধ্যে রহস্যজনক যোগসূত্রটা কী জানেন?
এদিকে, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও শ্রীদেবীর দেহ ভারতে নিয়ে আসা নিয়ে জটিলতা থেকেই গিয়েছে। প্রথমে রবিবার রাতেই দেহ মুম্বইতে আসবে বলে খবর হয়। খবর চাউর হতেই অভিনেত্রীর বাড়ির সামনে ভিড় জমান ভক্তরা। কিন্তু দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় জটিলতার কারণে সোমবার দেহ নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়। অভিনেত্রীকে শেষ চোখের দেখা দেখতে এখন অপেক্ষারত গোটা দেশ।