নববসন্তের আবহে 'স্বমেহন-শীৎকার' নিয়ে পোস্ট কবীর সুমনের; ছুটে আসছে 'জন্তু', 'মস্তিষ্ক বিকৃতি'র মতো শাণিত বাক্যবাণ

সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) কবিতা(Poem) পোস্ট কবীর সুমনের(Kabir Suman), 'চূড়ান্ত অশ্লীল' তকমা নেটিজেনদের(Netizens)! কী এমন লিখলেন 'গানওয়ালা'(Gaanwala)। 

Updated By: Mar 12, 2022, 03:13 PM IST
নববসন্তের আবহে 'স্বমেহন-শীৎকার' নিয়ে পোস্ট কবীর সুমনের; ছুটে আসছে 'জন্তু', 'মস্তিষ্ক বিকৃতি'র মতো শাণিত বাক্যবাণ
ফের বিতর্কে কবীর সুমন

নিজস্ব প্রতিবেদন: দিন যত বাড়ছে, বিতর্ক ততই তাড়া করে বেড়াচ্ছে কবীর সুমনকে। সৌজন্যে তাঁরই প্রয়োগ করা কিছু শব্দ। তা সে বলার ক্ষেত্রেই হোক বা লেখনীতে-- প্রতিবার নিজেই সেই বিতর্ক তৈরি করে বসেছেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। 

এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন তিনি। মনে করা হচ্ছে এক কবিপত্নীকে আক্রমণ করতেই এই ধরনের বিতর্কিত ভাষা ব্যবহার করেছেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার কবীর সুমনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বিদ্বজ্জন থেকে বিনোদন জগতের ব্যক্তিরা। এমনকি সাধারণ নেটিজেনরাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। অনেকেই বলেছেন 'মস্তিষ্কে বিকৃতি' ঘটেছে তাঁর।

কী ঘটেছিল? কেন এই ধরনের পোস্ট করলেন কবীর সুমন? 

লেখাটি একটি কবিতা। আর সেই কবিতার ভাষাকে ঘিরেই যত বিতর্কের সূত্রপাত। 'পূর্বা' নামে জনৈক এক নারীকে উদ্দেশ্য করে লেখা এটি। এক কথায় এটা একটা স্বীকারোক্তিও বলা যায় হয়তো। পোস্টটিতে 'পূর্বা'র সঙ্গে তাঁর কিছু অত্যন্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের কথা লিখেছেন কবীর সুমন। সেই সঙ্গে তাঁকে উদ্দেশ্য করে ওই কবিতায় সুমনের প্রশ্ন, তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের কথাও কি এবার রেকর্ডিং আকারে বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে?

লেখাটায় সুমন উল্লেখ করেছেন 'মদনজল'-এর মতো শব্দ; সাধারণত শব্দের 'কয়েনেজে' বরাবরের সাহসী ও দুর্দান্ত গানওয়ালা এখানে প্রেক্ষিতের দিক থেকে যে কিঞ্চিৎ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন তা সম্ভবত সহজেই আঁচ করা যাচ্ছে; অথচ দুঃখটা হল স্বয়ং লেখক সেটা সেভাবে আঁচ করতে পারেননি। তাঁর তথাকথিত 'অশ্লীল' (এ কথা মেনেই যে, সাহিত্যে শ্লীল-অশ্লীলে ডিমার্কেশন লাইন নিয়ে কোনও সর্বজনবোধ্য সিদ্ধান্তে এখনও আসেনি কোনও দেশের কোনও ভাষার সাহিত্যই) কাব্যেও তিনি স্বভাবগুণেই লেখেন এমন পঙক্তিও: 'দুপুরবেলায় আমার বিছানা জুড়ে/আমরা দুজন বেড়াতাম উড়ে উড়ে; এ না হয় ঠিক আছে। কিন্তু 'পূর্বাপূর্ব খেলা' জাতীয় শব্দের ইঙ্গিতের আলোয় ঠিক যতটা অন্ধকার তিনি ঢুকিয়ে দেন তা শেষ পর্যন্ত হতবাকই করে পাঠককে, কষ্ট দেয়, বিরক্ত করে।

এ হেন কবিতার বিষয়বস্তু ও ভাষা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে নেটদুনিয়া। কবিতাটিকে 'চূড়ান্ত অশ্লীল' বলেও অনেকে তকমা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার সুমনের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন বলেও লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাহিত্যিক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, "আমি বলেইছিলাম কবীর সুমনের একদম মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে গেছে। ছিঃ!" অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও কার্যত নাম না করেই এই পোস্টের জন্য কবীর সুমনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেছেন। একে একে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, প্রণতি ঠাকুর, অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী সহ আরও অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই লেখার জন্য।  

শুধু সাহিত্যিক বা অভিনেতা নয়, বহু সুমন-অনুরাগীও তাঁর এই পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই এই পোস্টটিকে সমর্থন করেননি। এমনকি অনেকেই পোস্টটিকে রীতিমতো আপত্তিকর জানিয়েছেন। কেউ কেউ লিখেছেন সামাজিক গণমাধ্যমে কে কী ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করছেন তা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। আবার তাঁর বহু গুণমুগ্ধও লিখেছেন, সুমনের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়ার সময় এসেছে। 

 

তবে, একাধিক বিষয়ে একসময়ের প্রতিবাদী কবীর সুমন ঠিক কী কারণে এই কবিতাটি লিখেছেন তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। যদিও, বিতর্কের ঝড় ওঠার পরই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছেন সুমন।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.