আম জনতার নাভিশ্বাসে রাজ্যের লাভ ৩০০ কোটি

এমনিতেই মহার্ঘ ডিজেল। আর সেই দাম আরও খানিকটা হলেও বেশি এরাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। কারণ বিক্রয় কর সহ ডিজেলের দামের একটা অংশ চলে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কোষাগারে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গের  সেই লাভের অঙ্কটা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় খানিকটা হলেও বেশি। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সেই বাড়তি করের বোঝা সরাসরি গিয়ে চাপছে এরাজ্যের বাসিন্দাদের ওপর।

Updated By: Sep 18, 2012, 12:24 PM IST

এমনিতেই মহার্ঘ ডিজেল। আর সেই দাম আরও খানিকটা হলেও বেশি এরাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। কারণ বিক্রয় কর সহ ডিজেলের দামের একটা অংশ চলে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের কোষাগারে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গের  সেই লাভের অঙ্কটা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় খানিকটা হলেও বেশি। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সেই বাড়তি করের বোঝা সরাসরি গিয়ে চাপছে এরাজ্যের বাসিন্দাদের ওপর।
দাম বেড়েছে ডিজেলের। স্বাভাবিকভাবেই তার ফলে বেড়ে গিয়েছে রাজ্যগুলির কোষাগারে কর সংগ্রহের পরিমাণ। পশ্চিমবঙ্গও যার ব্যতিক্রম নয়।
 
=====================
 
আসুন দেখে নেওয়া যাক বাড়তি আয়ের পাটিগণিত
----------------------
 
প্রতি মাসে গড়ে ২৮ কোটি লিটার ডিজেল বিক্রি হয় পশ্চিমবঙ্গে
 
দাম বাড়ার পর কলকাতায় ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৫০.৬১টাকা
 
রাজ্যের কর বেড়েছে লিটার প্রতি ৮৫ পয়সা করে
 
অঙ্কের নিয়মে এর ফলে অতিরিক্ত কর সংগ্রহ হতে চলেছে মাসে প্রায় ২৪ কোটি টাকা
 
বছরের হিসেবে সেই অঙ্ক প্রায় ৩০০ কোটি টাকা
======================
 
এবার দেখে নেওয়া যাক, ডিজেলের মূল্যের ওপর কোন খাতে কত টাকা কর আদায় করে রাজ্য সরকার।
 
======================
 
রাজ্য করের খতিয়ান
------------------
লিটার প্রতি ডিজেলে ১৭ শতাংশ সেলস ট্যাক্স বাবদ রাজ্যের আদায় ১৭.১২ টাকা
 
সেস বাবদ রাজ্যের খাতে যায় এক টাকা
 
স্টেট সারচার্জ বাবদ রাজ্য পায় এক টাকা আট পয়সা
 
সব মিলিয়ে লিটার প্রতি ডিজেলে রাজ্যের কর ৯.২০টাকা।
 
পশ্চিমবঙ্গে কর বাবদ অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই টাকা মকুব করলে দামের বোঝা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও এরাজ্যে ডিজেলের ওপর বিক্রয় কর ১৭ শতাংশ। যদিও ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার মতো রাজ্যেও এই করের পরিমাণ প্রায় ১২ শতাংশ।
 
তাই চাইলে বিক্রয় করের হার কমিয়েও মানুষের সমস্যার কিছুটা সুরাহা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
বিক্রয় কর কমালে স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে স্টেট সারচার্জের পরিমাণও। ফলে ডিজেলের দাম অনেকটাই কমতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল মুখ্যমন্ত্রী কি আদৌ সেই পথে হাঁটবেন। অতীতে রান্নার গ্যাসের ওপর কর ছাড় দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন তিনি। এবার তাই আরও একবার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। কিন্তু অতিরিক্ত আয়ের হাতছানি এবং জনমোহিনী রাজনীতির বাধ্যবাধকতার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী কোনটাকে অগ্রাধিকার দেন সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠেছে।

.