রক্তের সুগার লেভেল সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে লাগান আমপাতার এই আশ্চর্য টোটকা!

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর আমপাতা! জেনে নিন এর অজানা ব্যবহার…

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jun 25, 2020, 07:47 PM IST
রক্তের সুগার লেভেল সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে লাগান আমপাতার এই আশ্চর্য টোটকা!
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যে রোগে অষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু কোনও ভাবেই সেটিকে সম্পূর্ণ ভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরে কি ধরণের সমস্যা হয় তা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই অবগত।

ওষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইনজেক্সনই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। তবে ওষুধ, ইনসুলিন ইনজেক্সনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার আগে ঘরোয়া উপায়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুনলে অবাক হতে পারেন, আমপাতার সাহায্যেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব রক্তের সুগার লেভেল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ আমপাতা ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল— উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উপকারী। এই উপাদানগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। আমপাতার রস (ম্যাঙ্গিফেরিন) এনজাইম আলফা গ্লুকোসিডেসকে বাধা দেয় এবং এটি অন্ত্রের কার্বোহাইড্রেট বিপাক ক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই রক্তে বাড়তে পারে না শর্করার মাত্রা। এ বার জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে আমপাতার সাহায্যে রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব...

আরও পড়ুন: প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এ প্রায় ৩ মাস টিকে থাকতে পারে করোনা! চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের

সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমপাতার টোটকা:

প্রথমে ১০ থেকে ১৫টি আমপাতা ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে ঢুবো জলে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। পাতাগুলি ভাল করে সেদ্ধ হয়ে গেলে জল সমেত সেগুলিকে সারা রাত (৮-৯ ঘণ্টা) রেখে দিন। পর দিন সকালে খালি পেটে ওই জল ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। সপ্তাহ খানেক এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে আপনাকে যদি নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে হয় বা ইনসুলিন ইনজেক্সন নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে এই টোটকা কাজে না লাগানোই ভাল। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। 

.