জানুন ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নাকি খারাপ
ডিম খেতে আমরা মোটামুটি প্রত্যেকেই ভালোবাসি। শরীরে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে ডিম খুবই উপকারি বলে, ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরাও। কিন্তু ডিম নিয়ে অনেকের মনেই অনেকরকম সংশয় রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ডিম খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। তাহলে জেনে নিন, ডিম আসলে শরীরের পক্ষে উপকারী নাকি ক্ষতিকর। জানুন কী বলছেন চিকিত্সকেরা।
ওয়েব ডেস্ক: ডিম খেতে আমরা মোটামুটি প্রত্যেকেই ভালোবাসি। শরীরে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে ডিম খুবই উপকারি বলে, ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরাও। কিন্তু ডিম নিয়ে অনেকের মনেই অনেকরকম সংশয় রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ডিম খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। তাহলে জেনে নিন, ডিম আসলে শরীরের পক্ষে উপকারী নাকি ক্ষতিকর। জানুন কী বলছেন চিকিত্সকেরা।
১) অনেকেই মনে করেন, প্রত্যেকদিন ডিম খেলে বেশি বয়সের মানুষদের শরীরে ক্লোরেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, ১টি ডিমের কুসুমে ২২১ মিলিগ্রাম ক্লোরেস্টেরল থাকে। তাঁরা বলছেন, সপ্তাহে ৩টি ডিম কুসুম সমেত খাওয়া দরকার। ডিমে প্রচুর দরকারি গুণাগুণ থাকে। যা আমাদের শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং শরীরে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। কিন্তু ডিম নিয়ে আমাদের মধ্যে ক্ষতিকর, ক্লোরেস্টেরল বৃদ্ধি, মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতার মতো অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এই সমস্ত ধারণা মুক্ত করার জন্য দেশজুড়ে ক্যাম্প করা হচ্ছে। চিকিত্সকদের মতে, প্রত্যেক ব্যক্তির তাঁদের ওজনের প্রতি কেজিতে ১ গ্রাম প্রোটিন প্রত্যেকদিন প্রয়োজন হয়। যা ডিম থেকে পূরণ করা সম্ভব।
২) ১টি ডিমে গড়ে ৬.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এবং প্রত্যেক ব্যক্তির তাঁদের ওজনের প্রতি কিলোতে ০.৮ থেকে ১.০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়। দুধ, ডাল প্রভৃতি থেকে যে পরিমান প্রোটিন পাওয়া যায়, ১টা ডিম প্রত্যেক দিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। কুসুম সমেত ডিম খেলে প্রত্যেকদিন ১টি করে ডিম খাওয়া দরকার একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যক্তির।
৩) উচ্চমানের প্রোটিন যুক্ত খাবারের জন্য সেরা হল ডিম। ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ, ই, ডি এবং কে থাকে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধক হিসেবে বি কমপ্লেক্স ভিটামিন, Se, Zn প্রভৃতি থাকে।
৪) ডিম খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয় না। ব্রেকফাস্ট বা ডিনারে ১টি গোটা ডিম এবং ৩টি ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যেতে পারে। ডায়েটে এই পরিমান ডিম থাকলে, তা ক্যালোরি এবং নিউট্রিশন সম্পূর্ণ করে।