পাঁচ রাজ্যে বিপর্যয়ের পর রথের রশি নিজের হাতেই রাখছেন অমিত শাহ

রথযাত্রা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 

Updated By: Dec 14, 2018, 08:08 PM IST
পাঁচ রাজ্যে বিপর্যয়ের পর রথের রশি নিজের হাতেই রাখছেন অমিত শাহ

অঞ্জন রায়

রথযাত্রা নিয়ে শনিবার বিজেপিকে তাদের মতামত জানিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। আর রাজ্য সরকারের অবস্থান দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন খোদ অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারে চিঠি হাতে পাওয়ার পর রাজ্য নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।      

নবান্ন সূত্রে খবর, শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে রথযাত্রার অনুমোদন দিতে চলেছে প্রশাসন। শনিবারই চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দিল্লি থেকে সরাসরি বসবেন অমিত শাহ। রাজ্যের অবস্থান নিয়ে নেতাদের মত জানতে চাইবেন। সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন সভাপতি। অমিতের সিদ্ধান্তের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে রাজ্য বিজেপি। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য বিকল্প চিঠিও তৈরি রাখা হচ্ছে। এদিন রাজ্য দফতরে দফায় দফায় বৈঠকেও বসেন নেতারা। অনেকেই বলছেন, পাঁচটি রাজ্যে বিপর্যয়ের পর এবার সম্মুখ সমরে নামতে চলেছেন মোদীর সেনাপতি। হিন্দি বলয়ে ধাক্কার পর লোকসভায় আসন অনেকটাই কমতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের। আর সেই ঘাটতি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য থেকে পুষিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মোদী-শাহ।  

হাইকোর্টের নির্দেশে রথযাত্রার সমাধানসূত্র খুঁজতে বৃহস্পতিবার লালবাজারে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। ওই বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, রথযাত্রার দিনক্ষণ বদল হলেও পূর্বনির্ধারিত পথেই চলবে রথ। ৪২টি কেন্দ্রেই পৌঁছবে বিজেপির 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা'র যান।  

নবান্ন সূত্রে খবর, হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই শনিবার প্রশাসনের মতামত জানিয়ে দেওয়া হবে বিজেপিকে। ৪২ দিনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তার বদলে ১৪ দিনের মধ্যেই রথযাত্রা সম্পন্ন করতে হবে। এর পাশাপাশি ২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে থাকবে উত্সবের আবহ। ওই দিনগুলিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া যাবে না। 

গঙ্গাসাগর থেকে রথযাত্রা শুরু করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। এনিয়েও আপত্তি রাজ্য সরকারের। গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে রথযাত্রা করা যাবে না বলে মত প্রশাসনিক কর্তাদের। শুধু তাই নয়, স্পর্শকাতর ও সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে রথযাত্রা করা যাবে না। কর্মসূচির নাম 'রথ যাত্রা' দেওয়া যাবে না। যদিও বিজেপিকে এই কর্মসূচিকে 'গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা' বলছে। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সভা নিয়েও কোন আপত্তি নেই নবান্নের। সূত্রের খবর, বিজেপিকে রাজ্য সরকারের আপত্তিগুলি জানিয়ে দেওয়া হবে।     

আরও পড়ুন- অসমের পঞ্চায়েত ভোটে দাগ কাটতে পারল না তৃণমূল

 

.