আইনজীবীর দাবি এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের, সরকার হিসেব বলছে মাত্র ৯৬
এনেফেলাইটিসে মুত্যু কতজনের তা নিয়ে এবার বিভ্রান্তি চরমে। আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে সরকারের দাবি, ২৫ দিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। এর মধ্যে ৬ জন ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। অন্যদিকে, মামলাকারি আইনজীবীর দাবি, মৃতের সংখ্যা ১৬৮ জন।
শুরু হয়েছিল জুন মাসেই। অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনেকে। জুলাই মাসে তা রীতিমতো মহামারির আকার নেয়। এনসেফেলাইটিস এবং জাপানি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বহু রোগী। সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। বিচারপতি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানতে চান এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে? বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, সারা রাজ্য থেকেই তথ্য নেওয়া হয়েছে। এবছরের সাত জুলাই থেকে দোসরা অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন। জানুয়ারি মাস থেকে এই সময়ের মধ্যে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪০ জন। যার মধ্যে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জাপানি এনসেফেলাইটিসে।
রাজ্য সরকারের এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ মামলাকারির আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মৃতের সংখ্যা একনও পর্যন্ত একশো আটষট্টি। শুধু এখানেই শেষ নয়, এনসেফেলাইটিস প্রতিরোধে সরকার কি কি ব্যবস্থা নেয় তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরোধ। সরকারের দাবি, বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে টিকার কোনও ব্যবস্থা অসম ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে নেই। কিন্তু উত্তরবঙ্গের শিশুদের এই প্রতিশেধকের ব্যবস্থা নিয়মিতই করে রাজ্য সরকার। কিন্তু মামলাকারি আইনজীবীর দাবি, এটাও সঠিক তথ্য দিচ্ছে না সরকার। অনেক তথ্যই গোপন করা হচ্ছে। তাদের দাবি, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, সারা রাজ্যেই চালু করতে হবে প্রতিষেধক ব্যবস্থা।