ঋতব্রতকে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আলিমুদ্দিন

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে আলিমুদ্দিন। ২রা অক্টোবরের মধ্যে দলীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট দেওয়ার কথা। বলিয়ে-কইয়ে তরুণ সাংসদ সেই রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলে দলের ভাবমূর্তির কী হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তায় বঙ্গ সিপিএমের নেতারা।

Updated By: Jul 13, 2017, 11:10 PM IST
ঋতব্রতকে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আলিমুদ্দিন

ওয়েব ডেস্ক: ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে আলিমুদ্দিন। ২রা অক্টোবরের মধ্যে দলীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট দেওয়ার কথা। বলিয়ে-কইয়ে তরুণ সাংসদ সেই রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলে দলের ভাবমূর্তির কী হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তায় বঙ্গ সিপিএমের নেতারা।

কমিশন বসার পর আর আলিমুদ্দিনের ছায়া মাড়াননি ঋতব্রত। দোষ প্রমাণিত হলে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও দলে এখন সংশয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কে জড়ানোর পর ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর জীবনযাত্রা নিয়ে দলের কাছে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ায় তদন্ত কমিশন বসাতে বাধ্য হয় আলিমুদ্দিন।

সাংসদ পদের অপব্যবহার। অসংযমী জীবনযাত্রা। দলের খবর বাইরে ফাঁস করা। ব্যক্তিগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া। প্রচারে থাকার প্রবণতা। তরুণ সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বহরটা নেহাত কম নয়।

মদন ঘোষ, মহম্মদ সেলিম, মৃদুল দে-কে নিয়ে গঠিত কমিশনের ২রা অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার কথা। মুখরক্ষার জন্য ঋতব্রতর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন বসিয়েছে আলিমুদ্দিন। নেতারা ঠিক করেছেন, দোষ প্রমাণিত হলে তাঁকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, এখানেই গোল বেধেছে। দলীয় কমিশনের তদন্তে ঋতব্রত দোষী প্রমাণিত হলে দলের ভাবমূর্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

দলের মধ্যেই আরও বেশি করে উঠবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠবে, নতুন নেতা চিনতে কেন ভুল করলেন দলের পুরনো নেতারা? ঋতব্রত সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এখন এসব নিয়েই ঘোর চিন্তায় আলিমুদ্দিন। সমস্যা উঁকি মারছে অন্য দিক দিয়েও। কমিশনের এখনও ঋতব্রতর বয়ান নেওয়া বাকি। কিন্তু তরুণ সাংসদ কার্যত উধাও।

দলীয় সূত্রে খবর, তদন্ত কমিশন গঠনের পর আর আলিমুদ্দিনের ছায়া মাড়াননি ঋতব্রত। দলের অধিকাংশই তাঁকে ফোনে পাচ্ছেন না। তিনি চিনে গিয়েছেন বলে কোনও কোনও মহল থেকে শোনা গেলেও দলকে নিজের গতিবিধি নিয়ে কিছুই জানাননি ঋতব্রত। দোসরা জুলাই শেষবার সুভাষ চক্রবর্তীকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারপর আর তাঁর কোনও খবর নেই।

রাজনৈতিক কেরিয়ারে সমস্যায় পড়া ঋতব্রতর সুভাষ চক্রবর্তীকে নিয়ে করা পোস্টের পিছনে প্রচ্ছন্ন বার্তা দেখছেন দলের অনেকে। দল কড়া পদক্ষেপ করলে ঋতব্রত কী পদক্ষেপ করবেন তা নিয়েও সিপিএমের অন্দরে সংশয় রয়েছে। নিজে তো সমস্যায় পড়েছেনই। এখন আড়ালে গিয়ে দলকেও ষোলো আনা সমস্যায় ফেলে দিয়েছেন সিপিএমের তরুণ তুর্কি। (আরও পড়ুন- সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে পথে সিপিএম সহ উনিশটি বামদল)

.