চারটি চ্যানেল বিক্রি করেও সুদীপ্তর কাছ থেকে টাকা পাননি, রতিকান্তর দাবি মানছে না ইডি

Updated By: Sep 1, 2014, 11:18 PM IST
চারটি চ্যানেল বিক্রি করেও সুদীপ্তর কাছ থেকে টাকা পাননি, রতিকান্তর দাবি মানছে না ইডি

তারার চারটি চ্যানেল বিক্রি করে সুদীপ্ত সেনের থেকে কোনও টাকা পাননি তিনি। ইডি জেরায় এমনই দাবি তারার গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতিকান্ত বসুর।

২০১১-১২য় তারার দুটি নিউজ চ্যানেল, একটি মিউজিক চ্যানেল ও একটি পঞ্জাবি চ্যানেল হস্তান্তর করা হয়েছিল সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে। এজন্য ১৮ কোটি টাকার মউ সাক্ষর হলেও, সুদীপ্ত পুরো টাকা দেননি বলে দাবি করেছেন রতিকান্ত বসু। যদিও, রতিকান্তবাবুর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি ইডির গোয়েন্দাদের।২০১১-১২ সালে তারার চারটি চ্যানেল ,তারা নিউজ, তারা মিউজিক, টিভি সাউথ এশিয়া ও তারা পঞ্জাবি কিনেছিলেন  সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্তর দাবি,

সুদীপ্তর দাবি...
৪টি চ্যানেলের জন্য ৪০ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন।
চুক্তি হয়েছিল তারা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান রতিকান্ত বসুর মাধ্যমে।

সারদাকর্তার এই দাবি খতিয়ে দেখতেই তারা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতিকান্ত বসুকে সোমবার জেরা করল ইডি।

কে রতিকান্ত?

রতিকান্ত বসু  দূরদর্শনের প্রাক্তন মহা নির্দেশক
কলকাতা ও দিল্লির প্রভাবশালী মিডিয়া ব্যবসায়ী
বি ডব্লিউ ডব্লিউ কোম্পানির মালিক
ভারত ও বাংলাদেশে বিডব্লিউডব্লিউ-র ৪টি চ্যানেল ছিল

রতিকান্ত বসুর দাবি, ২০১০ সালে সারদা কর্তার সঙ্গে চারটি চ্যানেল বিক্রির জন্য ১৮ কোটি টাকার মউ সাক্ষর হয়েছিল। জেরায় রতিকান্ত বসু আরও জানিয়েছেন, তারা গোষ্ঠীতে মোট আঠারোজনের মালিকানা ছিল। যার মধ্যে মাত্র বারো শতাংশ শেয়ার ছিল তাঁর হাতে। বাকি ৬৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক চেন্নাইয়ের কোম্পানি শিবা ভেঞ্চার্চস। সারদা কর্তার সঙ্গে মউ সাক্ষরের পর রতিকান্ত বাবু তাঁর বারো শতাংশ শেয়ার শিবা ভেঞ্চার্চের মালিক শিবশঙ্করকে বিক্রি করে দেন। ২০১১-এর ১২ই মার্চ তারা গোষ্ঠীর ৪টি চ্যানেল হস্তান্তর করা হয় সুদীপ্ত সেনকে। রতিকান্ত বসুর দাবি,চ্যানেল হস্তান্তরের পরেও শিবা ভেঞ্চার্চসকে পুরো টাকা মিটিয়ে দেননি সুদীপ্ত সেন। বদলে সারদার বেশকিছু সম্পত্তি মর্টগেজ রেখেছিলেন সুদীপ্ত। সারদাকর্তার কাছ থেকে পুরো টাকা না মেলায় শিবা ভেঞ্চার্চও তাঁকে তাঁর প্রাপ্য টাকা দেয়নি বলে দাবি রতিকান্ত বসুর।

প্রাক্তন দূরদর্শন কর্তার এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন ইডির গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, প্রাপ্য টাকা না পাওয়া সত্ত্বেও কেন কোনও অভিযোগ করেননি রতিকান্ত বসু?এমনকি তাঁর কাছে যেসব কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল তাও দিতে পারেননি প্রাক্তন দূরদর্শন কর্তা। রতিকান্তবাবুর বক্তব্য থেকে  তদন্তকারীদের অনুমান, কাগজে কলমে না হলেও নগদে বড় অংশে টাকা লেনদেন হয়েছিল। আর তার অনেকটাই আত্মসাত্ করেছিলেন রতিকান্ত বসু। গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করতে শিগগিরি রতিকান্তবাবুকে ফের জেরা করতে চাইছে ইডি। তলব করা হতে পারে শিবা ভেঞ্চার্চে কর্তৃপক্ষকেও।।

 

.