আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই শিক্ষা বিল আনছে সরকার, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই শিক্ষা বিল আনছে সরকার। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি আলোচনার দরজাও খোলা রাখছেন তিনি। শৃঙ্খলারক্ষার প্রশ্নে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল্যবোধের ওপর জোর দিতে চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।শিক্ষা বিল নিয়ে গত শীতকালীন অধিবেশনে শেষ মুহূর্তে ইউটার্ন। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ বিল পেশ থেকে সরে আসে সরকার। বিলের বিষয় সামনে আসার পর থেকেই সরব ছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতেই এই বিল আনতে চায় সরকার। তাই বিল পাশ হলে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে, এটা ভেবেই কি পিছিয়ে আসে সরকার? এই ভাবনায় অবশ্য জল ঢেলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।তবে আলোচনার দরজা খোলা রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী।বিরোধীদের খোঁচা দিতে অবশ্য ছাড়েননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু সত্যিই কী বিরোধিতার মুখে পিছু হটল সরকার? সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও আপাতত হিমঘরে চলে গেল শিক্ষা বিল। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হল সরকারকে? সত্যিই কী বিলের বেশ কিছু বিষয় জানতেন না শিক্ষামন্ত্রী? জানা যাচ্ছে সরকারের শীর্ষ মহলে কথা বলে বিলের খসড়া তৈরি করেন শিক্ষা দফতরের এক কর্তা। টার্গেট ছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত করা। সেই লক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বিল তৈরির পরিকল্পনা নেয় সরকার।শিক্ষায় নিয়ন্ত্রণ আনতে দলীয় স্তরে আলোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস।তৈরি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কী করে নিয়মে বাঁধা যায় তার নীল নকশা। সেখানেই ঠিক হয় বিল আনার কথা। বিল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আমলাকে। বিল ছেপে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী দেখেন তাতে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা আলোচনাই হয়নি। কিন্তু কেন এমন হল? সূত্রের খবর, সরকারের শীর্ষ স্তরের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হয় ওই আমলার। বিল ছেপে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী দেখেন বিলে এমন অনেক বিষয় আছে যা তাঁর সঙ্গে আলোচনাই হয়নি। এরমধ্যে এমন বিষয় রয়েছে যা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হতে পারে শিক্ষামহলে। যেমন সিদ্ধান্ত না মানলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে, আইনে এমন সংস্থান রাখার কথা কখনওই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়নি।
ওয়েব ডেস্ক: আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই শিক্ষা বিল আনছে সরকার। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি আলোচনার দরজাও খোলা রাখছেন তিনি। শৃঙ্খলারক্ষার প্রশ্নে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মূল্যবোধের ওপর জোর দিতে চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।শিক্ষা বিল নিয়ে গত শীতকালীন অধিবেশনে শেষ মুহূর্তে ইউটার্ন। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ বিল পেশ থেকে সরে আসে সরকার। বিলের বিষয় সামনে আসার পর থেকেই সরব ছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতেই এই বিল আনতে চায় সরকার। তাই বিল পাশ হলে প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়তে হতে পারে, এটা ভেবেই কি পিছিয়ে আসে সরকার? এই ভাবনায় অবশ্য জল ঢেলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।তবে আলোচনার দরজা খোলা রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী।বিরোধীদের খোঁচা দিতে অবশ্য ছাড়েননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু সত্যিই কী বিরোধিতার মুখে পিছু হটল সরকার? সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও আপাতত হিমঘরে চলে গেল শিক্ষা বিল। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হল সরকারকে? সত্যিই কী বিলের বেশ কিছু বিষয় জানতেন না শিক্ষামন্ত্রী? জানা যাচ্ছে সরকারের শীর্ষ মহলে কথা বলে বিলের খসড়া তৈরি করেন শিক্ষা দফতরের এক কর্তা। টার্গেট ছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত করা। সেই লক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বিল তৈরির পরিকল্পনা নেয় সরকার।শিক্ষায় নিয়ন্ত্রণ আনতে দলীয় স্তরে আলোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস।তৈরি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কী করে নিয়মে বাঁধা যায় তার নীল নকশা। সেখানেই ঠিক হয় বিল আনার কথা। বিল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আমলাকে। বিল ছেপে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী দেখেন তাতে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা আলোচনাই হয়নি। কিন্তু কেন এমন হল? সূত্রের খবর, সরকারের শীর্ষ স্তরের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হয় ওই আমলার। বিল ছেপে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী দেখেন বিলে এমন অনেক বিষয় আছে যা তাঁর সঙ্গে আলোচনাই হয়নি। এরমধ্যে এমন বিষয় রয়েছে যা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হতে পারে শিক্ষামহলে। যেমন সিদ্ধান্ত না মানলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে, আইনে এমন সংস্থান রাখার কথা কখনওই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন যাত্রীদের সুবিধার জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট আরও বাড়ানোর উদ্যোগ
বিলের বিষয় সামনে আসার পর শিক্ষা মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। হইচই শুরু করে দেয় বিরোধীরাও। ৭জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে অধ্যাপকদের নিয়ে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিল পাশ হলে সভা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন WEBCUPA। দ্বিতীয়ত রাজ্যের শিক্ষক ,অধ্যাপকদের মধ্যে এখনও বাম মনোভাবাপন্নদের সংখ্যাই বেশি। তার পর বাম কংগ্রেস তো বটেই, বিজেপিও এ ইস্যুতে সুর চড়াবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় গোটা বিষয়টাই। আরেকটি বিষয়ও সরকারকে ভাবিয়ে তোলে। এমন বিল পাশ হলে UGC-র সঙ্গে সরাসি সংঘাতের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়বে বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা।ফলে, এমন বিল পাশ হলে, হীতে বিপরীত হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝান শিক্ষামন্ত্রী। যদিও প্রকাশ্যে এসব কিছুই মানতে নারাজ পার্থ।
আরও পড়ুন ফেসবুকে প্রেম, বাড়িতেই আত্মঘাতী উনিশ বছরের কলেজ ছাত্রী