সপ্তমীর জোয়ারে ভেসে মহানগরে জনসমুদ্র

শাস্ত্র মানলে পুজোর শুরু আজ সপ্তমী থেকেই। রবিবার দিনের শুরুটা হয়েছিল নবপত্রিকাস্নান আর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। এরপর সব আচার নিষ্ঠাভরে পালন করে বাঙালি এখন প্যান্ডেলমুখি।আর তাই একডালিয়া এভারগ্রিন থেকে সুরুচি সংঘ। বাগবাজার থেকে শোভাবাজার। বেহালা থেকে বড়িশা। খিদিরপুর থেকে মোমিনপুর। সব জায়াগায় এক ছবি। চিন্তা-উদ্বেগ দূরে সরিয়ে রেখে বাঙালি গা ভাসিয়েছে সপ্তমীর জোয়ারে।

Updated By: Oct 21, 2012, 10:08 AM IST

শাস্ত্র মানলে পুজোর শুরু আজ সপ্তমী থেকেই। রবিবার দিনের শুরুটা হয়েছিল নবপত্রিকাস্নান আর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে। এরপর সব আচার নিষ্ঠাভরে পালন করে বাঙালি এখন প্যান্ডেলমুখি।
আর তাই একডালিয়া এভারগ্রিন থেকে সুরুচি সংঘ। বাগবাজার থেকে শোভাবাজার। বেহালা থেকে বড়িশা। খিদিরপুর থেকে মোমিনপুর। সব জায়াগায় এক ছবি। চিন্তা-উদ্বেগ দূরে সরিয়ে রেখে বাঙালি গা ভাসিয়েছে সপ্তমীর জোয়ারে।
মহালয়ার শিউলি বিছনো ভোরে শুরু হয়েছিল উত্সবের আলাপ। মহাসপ্তমীতে সেই সুর সপ্তমে পৌঁছে গেল। আজ সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে উত্সবের ছবি। রাস্তাঘাটে ব্যস্ত পায়ের আনাগোণা। নদীর ঘাটে ঘাটে ঢাকের আওয়াজ। সেখানে নবপত্রিকা স্নানের পর তা মণ্ডপে নিয়ে আসা হয়। 
বোধনের দিন থেকেই অবশ্য মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড়। বাগবাজার থেকে বেহালা, টালিগঞ্জ থেকে টালা সব জায়গাতেই এক ছবি। মানুষের ভিড়, রাস্তার আলো, ঢাকের আওয়াজ, আর জমিয়ে পেট পুজো। আগামী কটাদিন ঢাকের কাঠির জোর আরও বাড়বে, মানুষের আবেগও আরও বাড়বে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে সকলের উন্মাদনা। ষষ্ঠীর দিনেই বুঝিয়ে দিইয়েছিল কলকাতার আবেগের সিনেমায় `পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত`।
কলকাতার পাশাপাশি, জেলার পুজো মণ্ডপগুলিতেও উপচে পড়ছে ভিড়। নিত্যনিতুন থিমে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন পুজো। এবার ২৫ বছরে পা দিল ব্যারাকপুর সুকান্ত সরণী ও পূর্ব তালবাগান অধিবাসীবৃন্দের পুজো। রজত জয়ন্তী বর্ষে এবার তাদের থিম খেলনা ঘূর্ণী। কাগজ ও বেত দিয়ে তৈরি ছোট ছোট খেলনা ঘূর্ণি দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। নিমতা চৌধুরীপাড়া ও উত্তরায়ণ দুগোর্তসব কমিটি এবার তাদের মণ্ডপ সাজিয়েছে লোকনাথ মন্দিরের আদলে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে  তাঁর ছোটবেলা থেকে জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্ত উঠে এসেছে নিমতা কালচার মোড়ের পুজোয়। 
থিম কালচারে গা ভাসাতে রাজি নন নিমতা হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দারা। পঁয়তাল্লিশতম বর্ষেও তারা মণ্ডপ সজ্জায় ঐতিহ্যকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। পুজোর বাহান্নতম বর্ষে মাটির পুতুল দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়েছে নিমতা প্রিয়নাথ গুহ অধিবাসীবৃন্দ। স্বর্ণজয়ন্তী বর্ষে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সাজিয়েছে খড়দহ নতুন পল্লি।

.