বেলাগাম, বেহিসাবি জীবন, সেক্স ম্যানিয়া, বিকৃত মানসিকতা, ১২ ঘণ্টায় ৪টি জীবন শেষ করল শঙ্করের জিঘাংসা

বেলাগাম জীবন। ব্যক্তিগত জীবনে বহু নারীর টানাপোড়েন। প্রচুর টাকা। আবার বেহিসেবি খরচে দেদার দেনা। সঙ্গে বিকৃত মানসিকতা আর সেক্স ম্যানিয়া। সব মিলিয়ে জিঘাংসার এক চরম জায়গায় পৌছে গিয়েছিল শঙ্কর কর্মকার। সেই তাড়না থেকেই বারো ঘণ্টায় চার চারটে প্রাণকে নিকেশ করে দেয় সে। একেবারে ঠান্ডা মাথায়। অঙ্ক কষে।

Updated By: Jan 24, 2015, 10:21 AM IST

ব্যুরো: বেলাগাম জীবন। ব্যক্তিগত জীবনে বহু নারীর টানাপোড়েন। প্রচুর টাকা। আবার বেহিসেবি খরচে দেদার দেনা। সঙ্গে বিকৃত মানসিকতা আর সেক্স ম্যানিয়া। সব মিলিয়ে জিঘাংসার এক চরম জায়গায় পৌছে গিয়েছিল শঙ্কর কর্মকার। সেই তাড়না থেকেই বারো ঘণ্টায় চার চারটে প্রাণকে নিকেশ করে দেয় সে। একেবারে ঠান্ডা মাথায়। অঙ্ক কষে।

রাস্তার ধারে ঘুঘনি বিক্রি দিয়ে রোজগার শুরু। কিন্তু প্রোমোটারি ও দালালির সৌজন্যে কয়েক বছরেই ধনকুবের হয়ে উঠেছিল শঙ্কর কর্মকার। এই হঠাত্‍ প্রাপ্তি আর অপ্রত্যাশিত উত্থানই বোধহয় তার মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছিল। টাকা হাতে আসার পরই সব কিছু পেতে শুরু করেছিল শঙ্কর। সে বিলাসবহুল জীবনই হোক কি দেদার নারীসঙ্গ। দুই স্ত্রী। পৌলমীর সঙ্গে লিগ্যাল ম্যারেজ হয়েছিল শঙ্করের। রোহিণীকে বিয়ে করেছিল কালীঘাটে। শয্যাসঙ্গী বার ডান্সাররাও। সঙ্গিনীদের পিছনে খোলামকুচির  মতো টাকা উড়িয়েছে শঙ্কর। প্রচুর রোজগার সত্ত্বেও বেহিসেবি  জীবনযাপনের কারণে অভাবের জাঁতাকলে পড়েছিল সে।  যন্ত্রণা ভুলতে বেছে নিয়েছিল নৈশ অভিসার।

রোহিণীর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন মেনে নেননি পৌলমী, তেমনই তার জীবনে অন্য নারীদের সান্নিধ্য মানতে পারেননি রোহিণীও। এখান থেকেই অশান্তির শুরু। পৌলমীর সঙ্গে বিবাদ ছিল রোজকার ঘটনা। তাই অনেক ভেবে চিন্তে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শঙ্কর। বুধবার সন্ধেয় হরিনাভির ফ্ল্যাটে পৌছে কেয়ারটেকারকে দিয়ে মদ আনানো। কোচিংয়ে পড়তে যাওয়া অরিত্রর জন্য ফ্ল্যাটে অপেক্ষা। সব কিছুতেই ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার ছাপ। কোচিং ফেরত ছেলেকে নিজে দরজা খুলে ঘরে ঢুকিয়েছিল  শঙ্কর। রাত সাড়ে নটা থেকে দশটার মধ্যে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে প্রথমে পৌলমী, পরে অরিত্রকে গলা কেটে খুন করে সে। বিষয়টি যাতে সকালের আগে জানাজানি না হয়, তারও পাকাপাকি বন্দোবস্ত করেছিল শঙ্কর। কেয়ারটেকার যাতে তখনই ঘরে ঢুকতে না পারে, তার জন্য বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁকে ডেকে নিজের ঘরের চাবি দিয়েছিল। পরের গন্তব্য গড়ফায় রোহিণীর ফ্ল্যাট। সেখানে আকণ্ঠ মদ্যপান করে রোহিণীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে শঙ্কর। প্রথমে তিন বছরের ইয়াশিকে শ্বাসরোধ করে ও কুপিয়ে খুন করা  হয়। বাধা দিতে আসেন রোহিণী। প্রথমে তাঁর বাঁ হাতে ব্লেড চালিয়ে দেয় শঙ্কর। তারপর ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রোহিণীর পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে দেয় সে। সব শেষে ব্লেড ও ছুরি চালিয়ে শেষ করে দেয় নিজেকে।

.