সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের!

রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কোনও নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য চিকিত্‍স‍ায় কী সংরক্ষণ চালু করা যায়? সরকারি এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। 

Updated By: Aug 28, 2012, 08:51 PM IST

রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কোনও নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য চিকিত্‍স‍ায় কী সংরক্ষণ চালু করা যায়? সরকারি এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। আজ এরই প্রতিবাদে মহাজাতি সদনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক টানতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংখ্যালঘু মানুষের চিকিত্‍‍সার জন্য রাজ্যে একটি স্বতন্ত্র মেডিক্যাল কলেজে ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েই এই হাসপাতাল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর ঠিক করেছে সুপার স্পেশালিটি এই হাসপাতালে ৫০০টি শয্যা থাকবে। ১০০ আসন সংখ্যা নিয়ে গড়ে উঠবে মেডিক্যাল কলেজ। বিজিআরএফ বা ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়নস গ্রান্ট ফান্ডের তরফে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ইতিমধ্যেই এই খাতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিজিআরএফের টাকা বরাদ্দের জন্য যোজনা কমিশনে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। সেই রিপোর্ট তৈরির জন্য পূর্ত দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতর। মূলত রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রোগীদের চিকিত্‍‍সার জন্যই হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে চিঠিতে। সরকারি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি।
 
শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য রাজ্যের এই ধরণের হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার সিদ্ধান্তকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। হাসপাতালের পরিষেবা কোনও বিশেষ ধর্মবলম্বীদের জন্য সীমাবদ্ধ রাখা যায় কিনা তা নিয়ে তৈরি হেয়েছে বিতর্ক। মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে বিপুল পরিমান টাকার সংস্থান কোথা থেকে হবে তানিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে সাধারণত ১০০ কোটি টাকার ওপর খরচ। বিজিআরএফের তরফে ৪০ কোটি টাকা মিললেও বাকি টাকার সংস্থান কোথা থেকে হবে তার কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি সরকারের তরফে।

.