সারদার এজেন্টদের আড়াল করার চেষ্টা শাসকের, উঠছে অভিযোগ

এবার রাজনীতির খেলা শুরু হয়ে গেল সর্বনাশের কারবারে। সারদার চিটফান্ডে যে আমানতকারীরা টাকা রেখেছিলেন, এখন তাঁদের আমানতের ভবিষ্যত কী বা চিটফান্ড গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ রাজ্য সরকারের। শাসক দলও নীরব। উল্টে নতুন কৌশল নিয়ে সারদা চিটফান্ডের এজেন্টদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে সোমবার বৈঠকে বসছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়। কালীঘাট বা তৃণমূল কংগ্রেস ভবন। শুক্রবার এবং শনিবার এখানে যাঁরা বিক্ষোভ দেখান, তাঁদের একটা বড় অংশ সারদা গোষ্ঠীর চিটফান্ডের এজেন্ট।  

Updated By: Apr 22, 2013, 10:00 AM IST

এবার রাজনীতির খেলা শুরু হয়ে গেল সর্বনাশের কারবারে। সারদার চিটফান্ডে যে আমানতকারীরা টাকা রেখেছিলেন, এখন তাঁদের আমানতের ভবিষ্যত কী বা চিটফান্ড গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ রাজ্য সরকারের। শাসক দলও নীরব। উল্টে নতুন কৌশল নিয়ে সারদা চিটফান্ডের এজেন্টদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে সোমবার বৈঠকে বসছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়। কালীঘাট বা তৃণমূল কংগ্রেস ভবন। শুক্রবার এবং শনিবার এখানে যাঁরা বিক্ষোভ দেখান, তাঁদের একটা বড় অংশ সারদা গোষ্ঠীর চিটফান্ডের এজেন্ট।
বেআইনি চিটফান্ডের জন্য আমানতকারীদের থেকে টাকা তুলতেন এই এজেন্টরাই। কমিশন মিলত, ১০০ টাকায় প্রায় ৩৩ টাকা। ফলে সারদাকে সামনে রেখে গত কয়েক বছরে মোটা রোজগারই করেছেন এই এজেন্টরা। এই এজেন্টরাই এতদিন সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের যুক্ত থাকার বিষয়টি পৌঁছে দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। আমানতকারীরাও ভরসা করেছিলেন এজেন্টদের। ভেবেছিলেন, শাসক দলের লোকজনই যখন এর পিছনে তখন আমানত সুরক্ষিত থাকবে এই সংস্থায়।  
কিন্তু সে পরিস্থিতি গত কদিনে পাল্টে গেল। সর্বনাশের কারবারিদের জালিয়াতিটা প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন সব থেকে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এই এজেন্টদেরই। তাই তাঁরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছেন কালীঘাট বা তৃণমূল ভবনে।
শাসক দলের তরফে মুকুল রায় অবশ্য সব অভিযোগ ঠেলে দিয়েছেন বামেদের দিকে।
সারদা গোষ্ঠীর বেআইনি চিটফান্ডে কয়েক হাজার কোটি টাকার আমানতের ভবিষ্যত কী? আমানতকারীরা তাঁদের জমা টাকা আদৌ ফেরত পাবেন কিনা, এই বেআইনি চিটফান্ড গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, দলীয় সাংসদ, নেতা, মন্ত্রীরা যাঁরা এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি সরকারের তরফ থেকে।
অথচ যে এজেন্টরা প্রায় তেত্রিশ শতাংশ কমিশনে সারদা গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করে জীবন গড়ে  ফেলেছেন, তাদের মধ্যে একটা অংশকে নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মুকুল রায়। কিন্তু কেন এই বৈঠক? রাজনৈতিক মহলের ধারনা, যে পথে সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এবার সেই পথে এজেন্টদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমানতকারীরা যাতে সঙ্ঘবদ্ধ হতে না পারেন, আমানতকারীরা যাতে কোনও আন্দোলন তৈরি করতে না পারেন, সে কারণেই এজেন্টদের বাঁচিয়ে তাঁদের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
 

.