গ্রিন করিডর তৈরি করে ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন কলকাতায়
এসএসকেএমেই চিকিত্সা চলছিল মল্লিকার। এরপর শুক্রবার ব্রেন ডেথ হয় তাঁর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিলচাঁদ সিংয়ের সফল হার্ট প্রতিস্থাপনের পর ফের একবার গ্রিন করিডর করে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের নজির গড়ল কলকাতা। ফের মরণোত্তর অঙ্গদান শহরে। ব্রেন ডেথ রোগীর দেহাংশে নতুন জীবন পেতে চলেছেন তিন জন।
আরও পড়ুন - সিরিয়ালের অভিনেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ
শুক্রবার সকালে ব্রেন ডেথ হয় শিলিগুড়ির ১৫ বছর বয়সী কিশোরী মল্লিকা মজুমদারের। কানে সংক্রমণ নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হন শিলিগুড়ির মল্লিকা। সেখান থেকে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এসএসকেএমেই চিকিত্সা চলছিল মল্লিকার। এরপর শুক্রবার ব্রেন ডেথ হয় তাঁর। এরপর পরিবারের সদস্যদের বোঝানো হয় মল্লিকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে সে। তারপর পরিবারের সম্মতিতে অঙ্গদানের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন - অনাথাশ্রমের 'লক্ষ্মী'কে বিয়ে করে নজির গড়লেন রাজীব
লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য হায়দরাবাদ থেকে অজয় রামাকান্ত নায়েককে (গ্রহিতা) নিয়ে আসা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ এসএসকেএম-এ অঙ্গ বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ লিভার রওনা হয় অ্যাপোলোর উদ্দেশে। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চার জন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের তত্বাবধানে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। সকাল আটটা নাগাদ অস্ত্রোপচার শেষ হয়।মল্লিকার লিভার রামাকান্তের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
আরও পড়ুন - বোলেরোর ভিতর তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ, উদ্ধার ৬০ লাখি লেপার্ড গোকো
অন্যদিকে মল্লিকার দু'টি কিডনি এসএসকেএম-এ ভর্তি দুই রোগীর শরীরে বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে পাশাপাশি দু'টি অপারেশন থিয়েটারে এ রাজ্যেরই দুই ব্যক্তির শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ হয়েছে। দু'টি অস্ত্রোপচারই করেছেন তিনজন চিকিত্সকের দু'টি দল। দুই কিডনি গ্রহিতা হলেন খড়দার বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তী এবং সোদপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব দাস। সকাল সাতটা নাগাদ শেষ হয়েছে তাঁদের অস্ত্রোপচার। মল্লিকার রেটিনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ত্বকের কোষ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এসএসকেএমে-র স্কিন ব্যাঙ্কে। তবে হার্ট প্রতিস্থাপণের জন্য কাউকে পাওয়া যায় নি।