বকেয়া সম্পত্তি করের সুদ ও জরিমানায় ৯২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা

পুরসভার বকেয়া করে সুদ ও জরিমানায় ছাড় দিতে পারবেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে পাশ হয়েছে এই নতুন প্রস্তাব। নতুন ব্যবস্থায় বকেয়া করের ওপর সুদ সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ এবং জরিমানায় ৯২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবেন মেয়র। এব্যাপারে সরাসরি আবেদন করতে হবে মেয়রের কাছে। 

Updated By: Jul 1, 2015, 02:26 PM IST
বকেয়া সম্পত্তি করের সুদ ও জরিমানায় ৯২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা

ওয়েব ডেস্ক: পুরসভার বকেয়া করে সুদ ও জরিমানায় ছাড় দিতে পারবেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে পাশ হয়েছে এই নতুন প্রস্তাব। নতুন ব্যবস্থায় বকেয়া করের ওপর সুদ সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ এবং জরিমানায় ৯২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবেন মেয়র। এব্যাপারে সরাসরি আবেদন করতে হবে মেয়রের কাছে। 

বকেয়া সম্পত্তি করের সুদ ও জরিমানায় ফের ছাড়ের ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা। এ ব্যাপারে একছত্রভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুর আইনের সংশোধনীকে হাতিয়ার করে বকেয়া সম্পত্তি করে সুদ ও জরিমানায় ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা থাকছে মেয়রের হাতে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে পাশ হয়েছে এই প্রস্তাব। 
শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র

এতদিন পর্যন্ত জরিমানার ওপর ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও বকেয়া করের সুদের ওপর ছাড় দেওয়ার অধিকার ছিল না পুরসভার হাতে। বিধানসভায় আইন পাশ পওয়ার পরই তা সম্ভব হয়েছে। 

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'বর্তমানে কলকাতা পুরসভার বকেয়া করের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা। এতদিন বকেয়া করের ওপর ১৮ শতাংশ সুদ জমা হত। সময়ে কর না দিতে পারলে তার ওপরই জরিমানা ধার্য হত। ওই আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল'। 

বিরোধীদের দাবি এই ছাড় দেওয়া হলে করদাতাদের পুরকর দেওয়ার ইচ্ছেটাই নষ্ট হবে । সময়ে পুরকর জমা না করা অপরাধ। কিন্তু পুরকরে এভাবে ছাড় দিলে কর না দেওয়ার প্রবণতাই প্রাধান্য পাবে। পুরসভার বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হবে। হিসেব বলছে মোটা অঙ্কের করদাতাদেরই বকেয়ার পরিমাণ সবথেকে বেশি। ফলে বকলমে সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণিকে সুবিধে করে দিতেই পুরসভার এই উদ্যোগ বলেও কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। 

যদিও পুরসভার দাবি বকেয়া সম্পত্তি করের সুদ ও জরিমানায় ছাড় দিলে করদাতাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হবে। আদায় হবে বকেয়া পুরকরের অনেকটাই। বুধবার থেকেই চালু হচ্ছে এই ব্যবস্থা। যে কোনও নাগরিক এই ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারবেন। 

.