নবান্নে বৈঠক শেষ, ফেডারেল ফ্রন্টের পক্ষে সওয়ালে মমতা-কেসিআর

গত কয়েকদিন ধরেই দেশে একটি অ-বিজেপি হাওয়া বইছে। তারই মাঝে নতুন করে কয়েকটি আঞ্চলিক দল শুধু মাত্র অ-বিজেপি নয়, অ-কংগ্রেসি জোট গড়ার ডাক দেয়।

Updated By: Mar 19, 2018, 06:15 PM IST
নবান্নে বৈঠক শেষ, ফেডারেল ফ্রন্টের পক্ষে সওয়ালে মমতা-কেসিআর
বৈঠকের পর নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে একটি বিকল্প শক্তি গড়তে হবে। আর তার জন্য অ-বিজেপি মনোভাবাপন্ন দলগুলিকে একজোট হয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে লড়াইয়ে নামতে হবে। সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই মত ব্যক্ত করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বৈঠকের পর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে আলোচনার ভিত্তিতে সহাবস্থানে আসতে হবে। তবে এই ফেডারেল ফ্রন্টে কংগ্রেসকে রাখা হবে কি না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মমতা।

গত কয়েকদিন ধরেই দেশে একটি অ-বিজেপি হাওয়া বইছে। তারই মাঝে নতুন করে কয়েকটি আঞ্চলিক দল শুধু মাত্র অ-বিজেপি নয়, অ-কংগ্রেসি জোট গড়ার ডাক দেয়। গত শুক্রবার মোদী সরকার থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নিয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বধীন তেলুগু দেশম পার্টি। সমর্থন তুলে নেওয়ার পরই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। টিডিপির এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, এনসিপি-র মতো দল। অনাস্থার বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করলেও, এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি বিকল্প জোট গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ময়দানে নেমেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও।

সোমবার দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। দেশে অ-বিজেপি ফেডারেল জোট গড়ার বিষেয় আলোচনা হয় দু'জনের মধ্যে। আলোচনা শেষে দুই নেতা বলেন, আমরা মানুষের স্বার্থে একজোট হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাইছি। চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ''কংগ্রেস-বিজেপি দেশ চালাতে যোগ্য নয়। তাই ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।''

অন্যদিকে, ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার পক্ষে সহমত পোষণ করলেও, এদিন কংগ্রেস প্রসঙ্গ বারবার এরিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আলোচনা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। ফলে হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্যদলগুলির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

.