পিয়ালি মুখার্জির মৃত্যু-রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে

রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে। মঙ্গলবার রাতে বিমান বন্দর থানার নারায়ণপুর এলাকার একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পিয়ালি মুখার্জির ঝুলন্ত দেহ। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পিয়ালির সঙ্গে কে কে দেখা করতে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ নিজের গাড়িতে শ্যামবাজার থেকে নারায়ণপুরে সিদ্ধা পাইন অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে ফেরেন পিয়ালী মুখার্জি। গাড়িতে ছিলেন তাঁর বান্ধবী রূপকথা গাঙ্গুলি ও আরও এক ব্যক্তি। এমনটাই দাবি গাড়ির চালক হেমন্ত মান্নার।

Updated By: Mar 28, 2013, 04:26 PM IST

রহস্য ক্রমেই দানা বাঁধছে।  মঙ্গলবার রাতে বিমান বন্দর থানার নারায়ণপুর এলাকার একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়  পিয়ালি মুখার্জির ঝুলন্ত দেহ। সোমবার সন্ধে থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পিয়ালির সঙ্গে কে কে দেখা করতে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ নিজের গাড়িতে শ্যামবাজার থেকে নারায়ণপুরে সিদ্ধা পাইন অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে ফেরেন পিয়ালী মুখার্জি। গাড়িতে ছিলেন তাঁর বান্ধবী রূপকথা গাঙ্গুলি ও আরও এক ব্যক্তি। এমনটাই দাবি গাড়ির চালক হেমন্ত মান্নার।
চালকের দাবি অনুযায়ী বান্ধবী রুপকথার সঙ্গে সোমবার রাতে পিয়ালী মুখার্জির ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন  ওই ব্যক্তি। কিন্তু কী তার পরিচয়?  কেনই বা তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। ফ্ল্যাট থেকে তাঁরা কখন বেরিয়ে যান তাও জানা যাচ্ছে না। সোমবার পিয়ালি মুখার্জির ফ্ল্যাটে যাওয়ার বিষয়ে  মুখে কুলুপ এঁটেছেন রূপকথা।
ঘটনার তদন্তে নেমে ফ্ল্যাট থেকে পিয়ালির ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, কয়েকটি ফাইল এবং বেশ কিছু কাগজ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।  বুধবার রাতভর আবাসনের  এক কেয়ারটেকারকে জেরা করে পুলিস। 
প্রয়োজনে আবাসনের ভিজিটর রেজিস্টার এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হতে পারে। আবাসনের যে ফ্ল্যাটে পিয়ালী মুখার্জি ভাড়া থাকতেন তার মালিক অস্ট্রেলিয়ার  বাসিন্দা ইসমাইল খান। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতাই পিয়ালিকে ওই ফ্ল্যাটটির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। আবাসনের অন্য বাসিন্দারা পুলিসকে জানিয়েছেন, বিলাসবহুল জীবনেই অভ্যস্ত ছিলেন পিয়ালী মুখার্জি। অভিজাত ওই আবাসনের সাধারণ ফ্ল্যাট ভাড়াই প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আইনজীবী হিসাবে সদ্য কেরিয়ার শুরু করা পিয়ালির বিপুল খরচের উত্‍স কী তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।

.