নাগেরবাজারকাণ্ডে দোষ ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে তৃণমূল: দিলীপ

নাগেরবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি আরএসএস-বিজেপির।  

Updated By: Oct 2, 2018, 05:17 PM IST
নাগেরবাজারকাণ্ডে দোষ ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে তৃণমূল: দিলীপ

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগেরবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে তৃণমূল''। একই দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। 

ঘটনায় ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে এনআইএ। সিআইডি-র সঙ্গে কথা বলেছে এনআইএ-র গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের সিআইডি অফিসাররা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিস্ফোরকাণ্ডে বিজেপি-আরএসএস জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পূর্ণেন্দু বসু। পাল্টা শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে আরএসএস-বিজেপি। আরএসএস নেতা জিষ্ণু বসু বলেন,  ''রাজ্যের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কাছে এই ধরনের অভিযোগ দুঃখজনক। আরএসএস হিংসাত্মক কাজে জড়িত থাকে না। আমরা এনআইএ তদন্ত চাইছ। রাজ্যটা একেবারে জতুগৃহ হয়ে গিয়েছে''। 
   
এনআইএ দাবি করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপিকে নিশানা করছে শাসক দল।      

মঙ্গলবার সকালে দমদম নাগেরবাজার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের দফতরের সামনে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে আহত হন ১২ জন। পরে এসএসকেএম-এ আহতদের মধ্যে মৃত্যু হয় বিভাস ঘোষ নামে ৮ বছরের এক বালকের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় দাবি করেন, তাঁকে খুনের উদ্দেশেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ব্যাগে করে আনা হয়েছিল বোমা। 

তদন্তে নেমে কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও বিস্ফোরকের প্রকৃতি নিয়ে প্রথমে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস কমিশনার জানান, সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে নাগেরবাজারে। কিন্তু, তাতেও প্রশ্ন উঠছে, সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণে এতখানি তীব্রতা থাকা কি সম্ভব?

বিস্ফোরণের অভিঘাতে নাগেরবাজারে ওই বহুতলের বেশ কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিন তলার জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। খাট থেকে পড়ে যান বহুতলের এক বাসিন্দা। পুলিসের দাবি মোতাবেক সকেট বোমা ফেটে বিস্ফোরণের তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশই।

আরও পড়ুন- রাহুলের সামনে 'হর হর মহাদেব' স্লোগান দেওয়ায় সাসপেন্ড ৫ কংগ্রেস কর্মী

.