অ্যাঞ্জিওগ্রাম করতে গিয়ে ধমনী ছিঁড়ে মৃত্যু, কাঠগড়ায় এসএসকেএম
অ্যাঞ্জিওগ্রাম করাতে গিয়ে বিপত্তি। অস্ত্রোপচারের ভুলে প্রবল রক্তক্ষরণে মৃত্যু হল রোগীনির। ধমনী মেরামত করা গেলেও লাভ হয়নি কিছুই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ। অভিযুক্ত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : অ্যাঞ্জিওগ্রাম করাতে গিয়ে বিপত্তি। অস্ত্রোপচারের ভুলে প্রবল রক্তক্ষরণে মৃত্যু হল রোগীনির। ধমনী মেরামত করা গেলেও লাভ হয়নি কিছুই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ। অভিযুক্ত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার স্বামীর চিকিত্সার জন্য এসএসকেএমে আসেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বছর পঞ্চাশের নমিতা বণিক। কলকাতায় এসে ঠিক করেন কার্ডিওলজি বিভাগে নিজের চিকিত্সা করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পরীক্ষার পর তাঁকে অ্যাঞ্জিওগ্রাম করানোর পরামর্শ দেন চিকিত্সক। সেই মতো হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। গত বুধবার অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয় নমিতাদেবীর। অ্যাঞ্জিওগ্রাম করেন বিভাগীয় প্রধান এসসি মণ্ডল। সেখানেই ঘটে যায় অঘটন। অ্যানজিওগ্রাম করাতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধমনী ছিঁড়ে যায় রোগীনির। শত চেষ্টাতেও বন্ধ হয়নি রক্তক্ষরণ। বৃহস্পতিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৃতার পরিবারের দাবি, নমিতাদেবীর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করেন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বিভাগের প্রধান এসসি মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালের সুপার মনোময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মৃতার পরিবার।
আরও পড়ুন- মহানগরে ফের খুল্লমখুল্লা গুলি, এন্টালিতে গুলিবিদ্ধ ১
যদিও অভিযুক্ত চিকিত্সকের সাফাই, ঘটনার সময় তিনি অপারেশন টেবিলে উপস্থিতই ছিলেন না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৪ বোতল রক্তও দেওয়া হয় নমিতাদেবীকে। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ক্রমশই শারীরিক পরিস্থিতি অবস্থার অবনতি হতে থাকে রোগীনির। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
হঠাত্ মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযুক্ত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।