টানা ২৬ দিন কৃত্রিম ফুসফুসের সাপোর্ট! মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরলেন ৭২ বছরের প্রবীণা

প্রবাদপ্রতিম ইএনটি সার্জেন্ট বারিন রায়চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম-এ বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন 

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Aug 27, 2020, 10:20 PM IST
টানা ২৬ দিন কৃত্রিম ফুসফুসের সাপোর্ট! মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরলেন ৭২ বছরের প্রবীণা
ছবি-নিজস্ব

তন্ময় প্রামাণিক

টানা ৬৪ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেন প্রবাদপ্রতিম ইএনটি সার্জেন্ট বারিন রায়চৌধুরীর স্ত্রী। দ্রুত অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ফুসফুস। বাধ্য হয়েই একমো যন্ত্র অর্থাত্ কৃত্রিম ফুসফুস দিয়ে টানা ২৬ দিন বাঁচিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে বেঁচে ফিরলেন ৭২ বছরে প্রবীণা লীলা রায়চৌধুরী। চিকিত্সকরা বলছেন, করোনা আবহে ফের নজির গড়ল কলকাতা।

আরও পড়ুন-দিল্লিতে জালিয়াতি; জাল ছড়িয়ে বাংলা পর্যন্ত, সিউড়িতে পাকড়াও জামতাড়া গ্যাংয়ের ২ জালিয়াত

চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, লীলাদেবীর ফুসফুসের কর্মক্ষমতা একেবারে হারিয়ে ফেলে। একমো যন্ত্র অর্থাৎ কৃত্রিম ফুসফুস এর সাহায্যে ২৬ দিন ধরে বাঁচিয়ে রাখা হয় তাঁকে। পরে ধাপে ধাপে একমো সাপোর্ট থেকে বের করে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। সেখানও ৪৬ দিন থেকে আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বৃহস্পতিবার। যাবতীয় করোনার লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হলেও করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসেনি। চিকিৎসকদের মতে, ভাইরাল নয় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়েছিল।  

প্রবাদপ্রতিম ইএনটি সার্জেন্ট বারিন রায়চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম-এ বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার দিন বারিনবাবু বলেন, "চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং চিকিৎসকদের মেলবন্ধনেই এমন সাফল্য। "  কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেন চিকিত্সক বারিন রায় চৌধুরী। তাঁর কথায়, "একাধিক করোনার উপসর্গ ছিল । কিন্তু করোনা আক্রান্ত হননি তিনি। সিভিয়র লাং ইনফেকশন বা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্নায়ুর সমস্যাও রয়েছে।"

আরও পড়ুন-ভারতের 'প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের' ডোজ নিয়ে সুস্থ দুর্গাপুরের চিরঞ্জিত্, ফিরলেন বাড়িতে

একমো এক্সপার্ট চিকিৎসক সোহম মজুমদার বলেন, "অবশ্যই আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। ৭২ বছর বয়স হয়ে যাওয়ায় গোটা বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ছিল। টানা ২৬ দিন তাকে কৃত্রিম ফুসফুস এর সাহায্যে বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছিল । পরে ধীরে ধীরে অন্য মাপকাঠিগুলো উন্নতি হওয়ায় তাঁকে একমো সাপোর্ট থেকে বের করা হয়। পরে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়।" মেডিকেল কেয়ার বিশেষজ্ঞ মহুয়া ভট্টাচার্য বলেন, "বিষয়টি সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সাফল্য পেয়েছি আমরা সকলেই খুশি।"

.