শঙ্কুদেবকে সরানো নিয়ে তৃণমূলে টানাপোড়েন

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদ থেকে সরানো হতে পারে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। তাঁর জায়গায়, দলের যুব শাখার দায়িত্বে থাকা সৌরভ চক্রবর্তীকে আনার সম্ভাবনা রয়েছে।

Updated By: Apr 14, 2013, 06:05 PM IST

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার জেরে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে তাঁর পদ থেকে সরানোর জন্য চাপ তৈরি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। দলের একাংশের মত, গোটা ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে শঙ্কুদেব পণ্ডার। তাই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। অন্য অংশ আবার মনে করছে,  এখন শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সরালে হামলার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত তা স্বীকার করে নেওয়া হবে। মুকুল রায় অবশ্য শঙ্কুদেবের অপসারণের সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডবের দায় ঝেড়ে ফেলতে প্রথম থেকেই তত্‍পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই ঘটনায় পুলিস পাঁচ জন টিএমসিপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ক্যামেরা ফুটেজে যাঁদের দেখা গেছে, তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যায় বিধানসভার উপাধ্যক্ষ সোনালী গুহর স্বামী, পুরসভার চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ বসু, টিএমসিপি-র সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য কৈলাশ মিশ্র ও তথাগত সাহা, সুরেন্দ্রনাথ সান্ধ্য কলেজের টিএমসিপি নেতা সুলতানকে।
কিন্তু প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাণ্ডবে দলের নাম ক্রমশ জড়িয়ে যাওয়ায় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁদের দাবি, মুখ বাঁচাতে টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। ওই সব তৃণমূল নেতাদের দাবি, প্রেসিডেন্সির ঘটনায় শঙ্কুদেবকে সরিয়ে দিলে রাজনৈতিক লাভও হবে। বলা যাবে, দিল্লি কাণ্ডের জেরে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সিপিআইএম। কিন্তু তৃণমূল শঙ্কুদেবকে সরিয়ে দিল।
দলের প্রভাবশালী নেতাদের অনেকেই অবশ্য মনে করেন, শঙ্কুদেবকে সরিয়ে দিলে আখেড়ে ক্ষতি হবে। সেক্ষেত্রে বার্তা যাবে, প্রেসিডেন্সিতে তাণ্ডবের দায় স্বীকার করে নিল তৃণমূল। এক তৃণমূল নেতার কথায়, পুলিস কয়েকটা চুনোপুঁটিকে ধরেছে। কিন্তু কোনও রাঘব বোয়ালকে সরিয়ে দিলে নেতাদের মুখ পুড়বে। মুখ পুড়বে দলেরও। এই দুই টানাপোড়েনের মাঝে এখন ত্রিশঙ্কু শঙ্কুদেবের ভবিষ্যত।
 

 

.