রাজ্যের কোন রেলস্টেশনে এবার জঙ্গি হামলার প্ল্যান, জানলে আঁতকে উঠবেন!
ভারতীয় রেল বরাবরই জঙ্গিদের সফট টার্গেট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এবার তাদের লক্ষ্য হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন। সন্ত্রাসবাদী হামলার
ওয়েব ডেস্ক : ভারতীয় রেল বরাবরই জঙ্গিদের সফট টার্গেট। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এবার তাদের লক্ষ্য হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন। সন্ত্রাসবাদী হামলার
আশঙ্কায় দুই স্টেশনের নিরাপত্তা ঢেলে সাজছে পূর্ব রেল।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রেলে কোথায় কোথায় হামলা করে জঙ্গিরা-
২৬ নভেম্বর, ২০০৮-মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসে কাসভদের হামলা। হামলায় প্রাণ যায় ৫৮ জনের। আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।
৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬-ব্রহ্মপুত্র মেলে বিস্ফোরণ। নিহত ৩৩ জন
১১ জুলাই, ২০০৬-মুম্বইয়ে ট্রেনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণে নিহত ২০৯জন
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭-সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ। নিহত ৬৮জন
ইতিহাস বলছে, ভারতীয় রেল বরাবরই সন্ত্রাসবাদীদের সফট টার্গেট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সতর্কবার্তা আসার পরই নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব রেল। বাড়ানো হয়েছে হাওড়া স্টেশনের নিরাপত্তা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, যতটা বেশি সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে সকাল-সন্ধের অফিস টাইমে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং সন্ধে ৬টা থেকে ৮টা। লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেনে ওঠানামার ভিড় যখন বেশি থাকে তখনই নাশকতার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা। পাঁচ থেকে ছ-জনের একটি দল স্টেশনে ঢুকে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে হামলা চালাতে পারে।
হাওড়া-শিয়ালদার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে নিরাপত্তার হাল মোটেই ভালো নয়। এক্স-রে ব্যাগেজ স্ক্যানারগুলির বেহাল দশা। সব ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর মান্ধাতার আমলের। জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা পেয়ে স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব রেল। হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, বর্ধমান স্টেশনের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সিসিটিভি, আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানার, ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর, হাতে থাকা মেটাল ডিটেক্টর, এক্স রে ব্যাগেজ স্ক্যানার - সবই নতুন করে বসানো হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে আসানসোল, দুর্গাপুর এবং মালদা টাউন স্টেশনের নিরাপত্তাও।
মুম্বই হামলার সময় RPF কনস্টেবল জিল্লু যাদব থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে কাসভদের সঙ্গে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না রেল। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে দু'কোম্পানি কমান্ডো বাহিনী।
এক একটি স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৮০ জন কমান্ডো। গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষিত এই কমান্ডোদের হাতে থাকবে AK-47 রাইফেল। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের জন্য তৈরি হচ্ছে রেলের নিজস্ব বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কায় স্টেশনের নিরাপত্তা ঢেলে সাজার দাবি আজকের নয়। যাত্রীরা বলছেন, দেরিতে হলেও রেলের ঘুম ভেঙেছে। এটাই যা আশার কথা।