কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের জমি বিবাদে হত ২, গ্রেফতার ১২, শর্ট স্ট্রিটের বিতর্কিত জমি একনজরে

কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে , সম্ভ্রান্ত এলাকায় ১৭ কাঠা জমি। জমিতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালান এক মহিলা। জমির মালিকানা নিয়ে আইনি বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদের জেরেই ভোর রাতে হামলা। আত্মরক্ষায় গুলি।  গুলিতে প্রাণ গেল দুজনের। আহত হলেন চারজন। গ্রেফতার ১২। কিন্তু জমি নিয়ে বিবাদটা ঠিক কোথায়। একবার দেখে নেওয়া যাক।

Updated By: Nov 12, 2013, 08:28 AM IST

কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে , সম্ভ্রান্ত এলাকায় ১৭ কাঠা জমি। জমিতে কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালান এক মহিলা। জমির মালিকানা নিয়ে আইনি বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদের জেরেই ভোর রাতে হামলা। আত্মরক্ষায় গুলি।  গুলিতে প্রাণ গেল দুজনের। আহত হলেন চারজন। গ্রেফতার ১২। কিন্তু জমি নিয়ে বিবাদটা ঠিক কোথায়। একবার দেখে নেওয়া যাক।
পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া শর্ট স্ট্রিটের নাইন এ প্লটের  জমির পরিমাণ ১৭ কাঠা ১২ ছটাক ৩৫ স্কোয়ার ফুট। 
১৯৪৬ সাল থেকে জমির  হাত বদল শুরু।  জমির আদত মালিক  বিশ্বনাথ সেইন। তাঁর দুই ছেলে রাজেন্দ্রনাথ ও হরেন্দ্রনাথ।
১৯৪৬ সালের তেসরা এপ্রিল ডিড অফ পার্টিশনে রাজেন্দ্রনাথের ভাগে আসে এই জমি। রাজেন্দ্রনাথের স্ত্রী শৈলবালা সেইনের একমাত্র সন্তানের মৃত্যু হয় অল্পবয়সে। উত্তরাধিকারী না থাকায় বৃদ্ধ বয়সে শৈলবালা হরেন্দ্রনাথের ছেলে দ্বারিকানাথের কাছেই থাকতে শুরু করেন।
১৯৯৯ সালের ২২ জুন। মুম্বই হার্ট লাইন এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা  ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে শৈলবালার থেকে গোটা জমি কিনে নেয়। জমি হস্তান্তরে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ছিল আইনজীবী শিবাজি ব্যানার্জির। শৈলবালা দ্বারিকানাথের কাছে থাকায় জমি বিক্রির টাকা তাঁর হাতেই তুলে দ্বারিকানাথ। এরপরেও মৃত্যুর আগে শৈলবালা সেইন উইল করে ওই জমি দিয়ে যান দ্বারিকানাথের দুই মেয়ে রুমি ও রাখির নামে।
২০১০ সালে রতনলাল নাহাটা নামে এক ব্যক্তি এই জমি দেড়কোটি টাকায় কিনে নেন রুমি ও রাখির থেকে।
 
অন্যদিকে হার্টলাইন এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের থেকে এই জমি তিনকোটি টাকায় কেনেন সঞ্জয় সুরেখা ও স্বপ্না সুরেখা।  
হমালার ঘটনায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ ছিল ভোর রাতে সম্পত্তির দখল নিতে দুষ্কৃতীদের পাঠায় রিয়াল এসেস্ট সংস্থা রিটম্যান গোষ্ঠীর কর্ণধার পরাগ মজমুদার। প্রধান শিক্ষিকা মমতা আগরওয়াল চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন ইস্পাত সংস্থা কনকাস্ট স্টিলের কর্ণধার সঞ্জয় সুরেখার বিরুদ্ধেও।হামলা এবং চক্রান্তের গোটা অভিযোগটাই ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য রিয়েল এসেস্ট সংস্থার কর্ণধারের।
হামলার ঘটনায় অভিযোগ ছিল সঞ্জয় সুরেখার বিরুদ্ধেও। তার গলায় আবার ভিন্ন সুর।
কলকাতা কর্পোরেশনের মিউটেশন সার্টিফিকেটে সঞ্জয় সুরেখা ও স্বপ্না সুরেখাকেই জমির মালিক হিসাবে দেখানো হয়েছে।  
তবে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে ২০১০ সাল থেকেই কলকাতা হাইকোর্ট ও দেওয়ানি আদালতে  চলছে একাধিক মামলা। 
 

.