সিঙ্গুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

সিঙ্গুর আইন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। রাজ্য সরকারের সিঙ্গুর আইনকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে গত বাইশে জুন রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছিল এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হলে, দুমাসের মধ্যে রাজ্য সরকার উচ্চতর আদালতে যেতে পারে। সেই সময়সীমার মধ্যেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য সরকার।

Updated By: Aug 3, 2012, 11:33 PM IST

সিঙ্গুর আইন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। রাজ্য সরকারের সিঙ্গুর আইনকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে গত বাইশে জুন রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছিল এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে হলে, দুমাসের মধ্যে রাজ্য সরকার উচ্চতর আদালতে যেতে পারে। সেই সময়সীমার মধ্যেই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য সরকার।  
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া `সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক`! ২২ জুন এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ২ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সঙ্গে বিচারপতি পিনাকি চন্দ্র ঘোষ ও বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, এই রায় নিয়ে আপত্তি থাকলে আগামী ২ মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারবে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ জুন- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় `সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন` পাশ হওয়ার আগে বামপন্থী বিধায়করা এই আইনকে `অবৈধ ও অসাংবিধানিক` বলে সভা থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও একই কথা বলেছে। টাটা মোটরস-এর দায়ের করা মামলার রায় দিতে গিয়ে সিঙ্গুর আইনের ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর (জমি অধিগ্রহণ, অধিগৃহীত জমি খাস করা এবং টাটাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত) ধারাকে সুস্পষ্টভাবে `অসাংবিধানিক` বলে চিহ্নিত করে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেয়, উচ্চতর আদালতে মামলার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি বিলি স্থগিত রাখতে হবে। প্রত্যাশিতভাবেই ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে খুশি প্রকাশ করেছে টাটা মোটরস কর্তৃপক্ষও। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
২০১১-র ২ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পিনাকি চন্দ্র ঘোষ ও মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। ৬-মাস ধরে সরকার এবং টাটা মোটরস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শোনে আদালত। এর আগে গত ২৮ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে সিঙ্গুর আইনকে `বৈধ এবং সাংবিধানিক` বলা হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় টাটা মোটরস। ১৮ এপ্রিল মামলার শুনানি শেষ হয়।

.