শহিদ মিনারে বয়সের ছাপ! দ্রুত শুরু হচ্ছে মেরামতির কাজ

শহর কলকাতার অন্যতম আইকন এই মিনারের আগে নাম ছিল অক্টারলোনি মনুমেন্ট। ১৮২৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কম্যান্ডার মেজর-জেনারেল স্যার ডেভিড অক্টারলোনির স্মৃতিতে এই মিনার তৈরি হয়। মিনারের নকশা তৈরি করেন স্থপতি জে. পি. পার্কার।

Updated By: May 29, 2018, 04:22 PM IST
শহিদ মিনারে বয়সের ছাপ! দ্রুত শুরু হচ্ছে মেরামতির কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় দুশো বছরের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ। শহিদ মিনারের দেওয়ালে ফাটল। মিনারের মূল স্তম্ভ এবং সিঁড়িতে ধরা পড়েছে চিড়। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা তা খতিয়ে দেখেছেন। দ্রুত শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক এই সৌধ সংস্কারের কাজ।

২০০ ছুঁতে বাকি আর মাত্র ১০। ময়দানের এক কোণে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সে। শহর কলকাতার অন্যতম আইকন শহিদ মিনারের শরীরে আজ বয়সের ছাপ। ধরা পড়েছে ফাটল।

আরও পড়ুন: ১৫ বছরের দাদার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি সাত বছরের বালক! পরিণতি...

শুক্রবার পূর্ত দফতরের এঞ্জিনিয়াররা শহিদ মিনারে যান। মূল স্তম্ভের বাইরের দেওয়ালে এবং ভিতরের সিঁড়িতে ফাটল দেখতে পান তাঁরা। সোমবার পূর্ত দফতরের ১২ জন ইঞ্জিনিয়ার মিনারের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। বয়সের ভারে ঐতিহাসিক শহিদ মিনারের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে পড়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।

 

শহর কলকাতার অন্যতম আইকন এই মিনারের আগে নাম ছিল অক্টারলোনি মনুমেন্ট। ১৮২৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কম্যান্ডার মেজর-জেনারেল স্যার ডেভিড অক্টারলোনির স্মৃতিতে এই মিনার তৈরি হয়। মিনারের নকশা তৈরি করেন স্থপতি জে. পি. পার্কার। মিনার নির্মাণ করে বার্ন কোম্পানি।অক্টারলোনি মনুমেন্ট তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। ১৯৬৯ সালের ৯ অগাস্ট এই স্মৃতিসৌধটিকে স্বাধীনতা আন্দোলনে নিহত শহিদদের উদ্দেশে উত্‍সর্গ করা হয়। সেই সময় যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে সৌধের নতুন নামকরণ করা হয় শহিদ মিনার।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়েই চলছিল আসল কাজ! 

উচ্চতায় ৪৮ মিটার। রয়েছে ২২৩টি সিঁড়ি। ঐতিহাসিক এই স্থাপত্যে ফাটল ধরা পড়ায় উদ্বিগ্ন পূর্ত দফতর। কতটা ক্ষতি হয়েছে তা বুঝে নেওয়ার পরই দ্রুত শুরু হবে মেরামতি।

.