যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ঘটনায় রেয়াত পেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর

এক জনকে ধরা হলেও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ঘটনায় অভিযুক্ত মূল তৃণমূল কাউন্সিলরের টিকিটিই ছুঁল না পুলিস। গ্রেফতার করা হল নেহাতই সাধারণ এক তৃণমূল কর্মী রূপক চট্টোপাধ্যায়কে।

Updated By: Dec 18, 2011, 08:34 PM IST

এক জনকে ধরা হলেও যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ঘটনায় অভিযুক্ত মূল তৃণমূল কাউন্সিলরের টিকিটিই ছুঁল না পুলিস। গ্রেফতার করা হল নেহাতই সাধারণ এক তৃণমূল কর্মী রূপক চট্টোপাধ্যায়কে। ২২ তারিখ পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদলত। কিন্তু এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অন্যতম অভিযুক্ত কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। প্রশ্ন উঠছে রাঘববোয়াল ছেড়ে চুনোপুঁটি ধরে কি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শনিবার দু-তিনজনকে নিয়ে প্রথমে যাদবপুর বিদ্যাপীঠে ঢোকেন গল্ফগ্রীন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজেন মন্ডলের ঘরে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেন যে অবিলম্বে লিখে দিতে হবে প্রাথমিকের সব ছাত্রছাত্রীকে পঞ্চম শ্রেনীতে ভর্তি করা হবে। রাজেনবাবু এই দাবিতে রাজি না হয়ে বলেন, গোটা বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা না বলে তিনি কোনও কিছু লিখবেন না । এরপরেই চলে যান অভিযুক্ত কাউন্সিলর।
নীচে নেমে মোবাইলে দলীয় কর্মীদের স্কুলে ডাকেন। আধঘন্টা পরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি ফের যান রাজেনবাবুর ঘরে। অভিযোগ, সেখানে তখন স্কুলের আর দু তিনজন শিক্ষক ছিলেন। তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তপনবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপরেই হঠাত্ চেয়ার ছুড়ে কাঁচের আলমারি ভাঙতে শুরু করে তপনবাবুর সঙ্গীরা। তারপরেই ভাঙা কাঁচের টুকরো নিয়ে তপনবাবুর অনুগামীরা মারেন রাজেনবাবুকে। গল গল করে তাঁর হাত থেকে রক্ত বেরোতে থাকে।  গোটা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। কিন্তু তিনি কর্মীদের কোনও বাধা দেননি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের । বরং ওই কাউন্সিলর দলীয়  কর্মীদের উষ্কানি দেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এমনকি স্কুলের ছাত্ররা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। 
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে গোটা ঘটনার পিছনে আসল পাণ্ডা যে সেই তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কেন প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিল না। তপন দাশগুপ্ত নিজে কর্মীদের ডেকে আনেন বলে অভিযোগ, অথচ সেই কর্মীরা যখন স্কুলের শিক্ষকদের মারলেন, স্কুল ভাঙচুর করলেন তখন কেন তিনি তাদের বাধা দিলেন না । একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও স্কুলে ঢুকে যে কান্ড ঘটালেন তপনবাবু তাতে কিভাবে তিনি তার অপরাধ ঝেড়ে ফেলছেন। সব জেনেও কেন প্রশাসন তাঁর ক্ষেত্রে হাত গুটিয়ে রেখেছে। কেন যাদবপুর এলাকার এক সাধারণ  তৃণমূল কর্মীকে ধরে নিজেদের কর্তব্য সেরে ফেলতে চাইছে প্রশাসন। 

.