অত্যাচার থেকে বাঁচতে শরীর জুড়ে ট্যাটু
মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অচ্ছ্যুত্ অপবাদে পশুর মত জীবন কাটাতে বাধ্য করত উচ্চবর্ণের মানুষজন। নিজেদের মত করে বদলা নিয়েছেন রামনামিরা। শরীর জুড়ে রামনামের ট্যাটু এঁকেছেন। রাম নামের ট্যাটুর জন্য উচ্চবর্ণের সেই লোকেরা আর লাঠি, জুতো দিয়ে মারতে পারত না। কেননা গোটা শরীর জুড়ে রাম নাম লেখা ট্যাটু।
ওয়েব ডেস্ক: মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অচ্ছ্যুত্ অপবাদে পশুর মত জীবন কাটাতে বাধ্য করত উচ্চবর্ণের মানুষজন। নিজেদের মত করে বদলা নিয়েছেন রামনামিরা। শরীর জুড়ে রামনামের ট্যাটু এঁকেছেন। রাম নামের ট্যাটুর জন্য উচ্চবর্ণের সেই লোকেরা আর লাঠি, জুতো দিয়ে মারতে পারত না। কেননা গোটা শরীর জুড়ে রাম নাম লেখা ট্যাটু।
উল্কির ইতিহাস বড় ভাসাভাসা। আদিমতার গভীরতাও অন্ধকারে। সভ্যতার ধারা বেয়ে সমাজ বহু পথ এগিয়ে গেলেও উল্কি কিন্তু মোছেনি। বরং আদিম জনজাতির গোষ্ঠী পরিচায়ক কিম্বা সখের উল্কি বর্তমানে সৌখিন তরুণ তরুণীদের বড় পছন্দের ট্যাটু। রং যেন আর গাঢ় হয়েছে।
এই ট্যাটু আর যার কাছে যাই হোক না কেন, ছত্তিশগড়ের ছারপোরা গ্রামের এই মানুষগুলির কাছে বিপ্লব বার্তা। রাইপুর থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দূরে ছারপোরা। যার বাস করেন এখানে তাদের অধিকাংশকেই উচ্চবর্ণের মানুষরা দলিত আখ্যা দিয়ে নির্যাতন চালাত। মন্দিরে ঢুকতে দিত না। কিন্তু প্রতিবাদের কোনও উপায় ছিল না। উপায় খুঁজে পেয়েছিলেন পরশুরাম ভরদ্বাজ। সালটা আঠারোশো নব্বই।
আরও পড়ুন- বাড়ি বসে স্মার্টফোনে টেস্টই বলে দেবে স্পার্ম কাউন্ট কত?
গোটা শরীর জুড়ে রাম নামের উল্কি করেছিলেন। গ্রামের অন্যান্যরাও এটাকে প্রথাতে পরিণত করেছিলেন, আঠারোশো নব্বই থেকে শুরু হওয়া সেই প্রথায় গোটা গ্রামটার অধিবাসীদের গোত্রটাই যেন পাল্টে যায়। রামনামী। আর মন্দিরে যাওয়ার দরকার কী? শরীরেই তো মন্দির। রামনামীদের এই উল্কির জেরে আর আগের মত অত্যাচার করতে সাহস পেত না উচ্চবর্ণের মানুষজন। গোটা শরীরেইতো ভগবানের নাম-লাঠি বা জুতো দিয়ে মারলে, মারতে হবে তো ভাগবানের নাম লেখা শরীরে। রামনামী--ট্যাটু আঁকা শরীর--- যেন এক অহিংস আন্দোলন।