বৃষ্টি ভেজা দুপুরে চেটেপুটে খান চিংড়ি খিচুড়ি
বর্ষা-বাদলার এই আবহাওয়ায় খিচুড়ি-র থেকে ভাল পদ আর বোধহয় হয় না। আর সঙ্গে যদি থাকে চিংড়ি, তাহলে তো আর কথাই নেই!
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাদ্র মাসের গরম এখন অনেকটাই ফিকে। চারিদিক মেঘলা অন্ধকার। সারাদিন টিপটিপ, ঝিমঝিম করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বর্ষা-বাদলার এই আবহাওয়ায় খিচুড়ি-র থেকে ভাল পদ আর বোধহয় হয় না। আর সঙ্গে যদি থাকে চিংড়ি, তাহলে তো আর কথাই নেই! তাহলে আজ অন্য সব পদ দূরে সরিয়ে রেখে পাত ভরে উঠুক লোভনীয় চিংড়ি খিঁচুড়িতে। আসুন জেনে নেয়া যাক কী ভাবে বানাবেন চিংড়ি খিঁচুড়ি।
আরও পড়ুন: বর্ষায় জমিয়ে খান আমোদী পোলাও
চিংড়ি খিচুড়ি বানাতে লাগবে:—
ছোট চিংড়ি— ২০০ গ্রাম,
বাসমতি চাল— ২ কাপ,
মুগ ডাল— ১ কাপ,
মুসুর ডাল— ১ কাপ
টোম্যাটো— ১টি,
পেঁয়াজ— ২টি,
আদা বাটা— ২ চামচ,
কড়াইশুটি— ১ কাপ,
কাঁচা লঙ্কা— ৪-৫টি (স্বাদ মতো),
শুকনো লঙ্কা— ২-৩টি,
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো— আধা টেবিল চামচ,
হলুদ গুঁড়ো— আধা চা চামচ,
এলাচ— ৪-৬টি,
দারচিনি— ১টি টুকরো (মাঝারি মাপের),
তেজপাতা— ২-৩টি,
সরষের তেল— পরিমাণ মতো,
নুন— স্বাদ মতো,
চিনি— সামান্য।
আরও পড়ুন: মেঘলা দুপুরে চেটেপুটে খান ইলিশ খিঁচুড়ি
চিংড়ি খিচুড়ি বানানোর পদ্ধতি:—
চাল, ডাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে রাখুন। এ বার কড়াইতে পাত্রে সরষের তেল গরম করে তেজপাতা, দারচিনি, শুকনো লঙ্কা আর এলাচ ফোড়ন দিন।
এ বার অল্প আদা বাটা, পেঁয়াজ কুচি আর টোম্যাটোর টুকরো ও কড়াইশুঁটি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, নুন, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো মেশান। অল্প চিনি দিন।
এ বার কড়াইতে চিংড়িগুলো ছেড়ে দিয়ে হালকা কষতে থাকুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে জল ঝরিয়ে রাখা চাল-ডাল দিয়ে দিন।
এক সঙ্গে সমস্ত উপকরণ নাড়তে থাকুন। ৪-৫ মিনিট পরে চার কাপের মতো গরম জল ঢেলে পাত্রটি ঢেকে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে এলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। খিচুড়ি যদি বেশি শুকনো লাগে, তবে সামান্য গরম জল দিতে পারেন। আঁচ থেকে নামানোর পর ধনেপাতার কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে সুন্দর একটা গন্ধ বের হবে খিচুড়ি থেকে। তবে চাইলে না-ও দিতে পারেন।
ব্যস, এ বার গরম গরম পরিবেশন করুন মুখরোচক চিংড়ি খিচুড়ি। সঙ্গে নিয়ে নিন পছন্দসই ভাজা।