আজ শিখে নিন সুস্বাদু কিমা পোলাও বানানোর সহজ কৌশল
বর্ষায় খিচুড়ির চেয়ে উপাদেয় পদ বোধহয় আর হয় না। তবে অনেকেরই একঘেয়ে খিচুড়ি মোটেই পছন্দ নয়। তাই একবার বানিয়ে নিয়ে দেখতে পারেন সুস্বাদু কিমা পোলাও।
প্রতীক্ষার অবসান। বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্ষা মরশুমে মেনুতেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। প্রয়োজন স্বাদ বদলেরও। তাই রেস্তোরাঁর লোভনীয় ডিসগুলোকে হারাতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যাক দুর্দান্ত স্বাদের কিমা পোলাও।
কিমা পোলাও বানাতে লাগবে:
দেরাদুন রাইস ৪০০ গ্রাম
মটন কিমা ২৫০ গ্রাম (মটন না খেতে চাইলে চিকেনও দিতে পারেন)
দুধ ১০০ মিলিলিটার
জল ৬০০ মিলিলিটার
আরও পড়ুন: বর্ষায় জমিয়ে খান আমোদী পোলাও
পেঁয়াজ কুচি ১টা (খুব মিহি করে কাটা)
আদাবাটা ২ চামচ
রসুনবাটা ১ চামচ
গোলমরিচ গুড়ো আধা চামচ
নুন স্বাদমতো
চিনি ১ চামচ
ঘি ৫-৬ চামচ
সাদা তেল ২ চামচ
গোটা গরমমশলা ২ চামচ
জায়ফল গুড়ো আধা চামচ
জয়িত্রী গুড়ো আধা চামচ
কিসমিস ১ চামচ
আরও পড়ুন: এ বার জমিয়ে খান মুসুর ডালের পোলাও!
কিমা পোলাও বানানোর পদ্ধতি:
• প্রথম ধাপ: প্রথমে আধ ঘন্টা চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার প্রেসার কুকারে ধুয়ে রাখা কিমা ও প্রয়োজনীয় জল দিতে হবে। এরপর একে একে নুন, গোলমরিচ গুড়ো, আদা রসুন বাটা ও জায়ফল-জয়িত্রী গুঁড়ো দিয়ে প্রেসার কুকারে ২-৩টে সিটি দিয়ে নিলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে মটন কিমা। চিকেন হলে আরও কম সময় লাগবে। কিমা ঠান্ডা হলে প্রেসার কুকার খুলে জল ছেঁকে নিন। এবার চাল থেকে জল ঝরিয়ে নিন। একটা বড় প্যান গরম করে তাতে ঘি ও সাদা তেল দিয়ে দিন। ঘি গরম হলে পেঁয়াজ কুচি ও গোটা গরম মশলা দিয়ে সোনালী করে ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে সেদ্ধ করে রাখা কিমা দিয়ে আরও কিছু ক্ষণ ভেজে নিন। এইবার ওই কিমার মধ্যেই চাল দিয়ে আরও মিনিট দুয়েক ভাজতে হবে।
• দ্বিতীয় ধাপ: সব ভাল ভাবে ভাজা হলে প্যানের মধ্যে দুধ, চিনি, কিসমিস ও কিমা সেদ্ধ জল দিয়ে ঢাকা বন্ধ করে মাঝারি আঁচে বসিয়ে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে হালকা ভাবে নাড়তে হবে। খেয়াল রাখবেন, যাতে চালের দানা ভেঙে না যায়। জল শুকিয়ে এলে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দেবেন। এবার ঢাকার উপর শিলনোড়ার মতো ভারি একটা কিছু চাপা দিয়ে অল্প আঁচে মিনিট ২০ রাখুন। ২০ মিনিট পরে ঢাকা খুলে ভাল করে নেড়ে নিন। ব্যাস, এবার পরিবেশন করুন সুস্বাদু কিমা পোলাও।