অনলাইনে সবথেকে বেশি কী কেনে মানুষ? সমীক্ষা বলছে মোবাইল

ব্যস্ততার যুগে শপিংয়ের পিছনে সময় দেওয়া যখন বাহুল্য হয়ে উঠেছে, তখনই ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন শপিং। সময় যখন সীমিত তখন প্রয়োজনীয় জিনিস ঝটপট হাতে পেতে ক্রেতাদের বন্ধু এখন ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল। ক্রেতারা ঠিক কী ধরণেক জিনিস কেনেন অনলাইন? তাই নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছিল ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা আইএএমএআই।

Updated By: Apr 6, 2015, 06:21 PM IST
অনলাইনে সবথেকে বেশি কী কেনে মানুষ? সমীক্ষা বলছে মোবাইল

ওয়েব ডেস্ক: ব্যস্ততার যুগে শপিংয়ের পিছনে সময় দেওয়া যখন বাহুল্য হয়ে উঠেছে, তখনই ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন শপিং। সময় যখন সীমিত তখন প্রয়োজনীয় জিনিস ঝটপট হাতে পেতে ক্রেতাদের বন্ধু এখন ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল। ক্রেতারা ঠিক কী ধরণেক জিনিস কেনেন অনলাইন? তাই নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছিল ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা আইএএমএআই।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মোবাইল ফোন ও ফোন সংক্রান্ত অ্যাক্সেজরিজ সবথেকে বেশি অনলাইনে কিনে থাকেন ক্রেতারা। অনলাই রিটেল সংস্থাগুলি ৯,৯৩৬ কোটি টাকা লাভ করে এই জাতীয় প্রডাক্ট থেকে। যা ই-টেলিং ইন্ডাস্ট্রির লাভের ৪১ শতাংশ। এরপরই রয়েছে পোশাক, জুতো ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের অন্যান্য সামগ্রী। যার থেকে উঠে আসে প্রায় ৪,৬৯৯ কোটি টাকা অর্থাত্ মোট লাভের ২০ শতাংশ। কনজিউমার ডিউরেবলস ও রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেচে লাভ হয় ৩,৪০৪ কোটি টাকা যা মোট লাভের ১৪ শতাংশ।

আইএএমআই-এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বাকি ২৫ শতাংশ লাভ উঠে আসে ল্যাপটপ, নেট বুক, ট্যাবলেট, ঘর সাজানোর বিভিন্ন আসবাব ও বই থেকে। এর মধ্যে ল্যাপটপ/নেট বুক/ট্যাবলেট থেকে উঠে আসে ২,৭৮০ টাকা, আসবাব থেকে আসে ১,০৫৯ কোটি টাকা ও বই থেকে ৬৪৮ কোটি টাকা লাভ করে ই-টেলিং ইন্ডাস্ট্রি।

২০১৩ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১.৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ই-টেলিং যা পুরো ই-কমার্স মার্কেটের প্রায় ২৯ শতাংশ। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষে ই-টেলিং সহ ই-কমার্স মার্কেটের মূল্য ছিল ৮১,৫২৫ কোটি টাকা। যার ৬১ শতাংশই উঠে এসেছে অনলাইন ট্রাভেলিং থেকে। ২০১৫ সালের শেষে আরও ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এই লাভ ১ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সমীক্ষা বলছে অনলাইন ক্রেতাদের ৪৫ শতাংশই জিনিস হাতে পাওয়ার পর টাকা দিয়ে পেমেন্ট করতেই পছন্দ করেন। ২১ শতাংশ ব্যবহার ডেবিট করেন ও ১৬ শতাংশ ক্রেতা পেমেন্টের জন্য ব্যবহার করেন ক্রেডিট কার্ড। এছাড়াও ১০ শতাংশ ক্রেতা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে পেমেন্ট করেন। প্রিপেড ক্যাশ কার্ড বা মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করেন ৮ শতাংশ ক্রেতা।

 

.