এডিজি বদলির প্রশ্নে সুর নরম রাজ্যের

এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে বদলির প্রশ্নে সুর নরম করল রাজ্য সরকার। আজ মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবেন তাঁরা। রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঠিক আগে এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে নগরপালের পদে বদলি করে রাজ্য সরকার। বিধি মেনে এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনে বামেরা। একই দাবি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেসও। কমিশনের সদর দফতরে চিঠি দিচ্চেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ।

Updated By: Feb 16, 2013, 05:24 PM IST

এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে বদলির প্রশ্নে সুর নরম করল রাজ্য সরকার। আজ মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেবেন তাঁরা। রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঠিক আগে এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে নগরপালের পদে বদলি করে রাজ্য সরকার। বিধি মেনে এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনে বামেরা। একই দাবি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেসও। কমিশনের সদর দফতরে চিঠি দিচ্চেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ।
বৃহস্পতিবারই রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে সরিয়ে কলকাতার নগরপাল পদে আনা হয়েছে এডিজি আইন শৃঙ্খলা সুরজিত্ কর পুরকায়স্থকে। বৃহস্পতিবার রাতেই নগরপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নিয়মমাফিক হয়নি এই বদলি। 
২৩ ফেব্রুয়ারি রেজিনগর, নলহাটি ও ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। 
১৯৯৩-র নির্বাচনী নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কোনও আধিকারিককে বদলি করার আগে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
কিন্তু এডিজি আইন শৃঙ্খলাকে নগরপালের পদে বদলি করার আগে কমিশনের অনুমতি নেয়নি রাজ্য। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত কমিশনের সিইওকে জানানো হয়নি। বিষয়টি নজরে আসার পর সরব হয়েছে বিরোশী শিবির
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। 
নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হওয়ায় রদবদলের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিতে পারে কমিশন।
অথবা, উপনির্বাচনের গণনা পর্যন্ত রদবদল স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। 
বিধি লঙ্ঘনের জন্য রাজ্যকে ভর্ৎসনা করা হতে পারে।
এছাড়াও, নতুন করে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বিকল্প নাম চেয়ে পাঠানো হতে পারে। সেই নামগুলি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই। 
রাজ্য সরকারের পাঠানো নাম পছন্দ না হলে, নতুন করে নাম চেয়েও পাঠানো হতে পারে।      

.