ইয়াকুব মেমনের হয়ে গলা ফাটিয়ে বিপাকে সলমন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন, সুপ্রিমকোর্টে মেমনের আর্জির শুনানি আগামিকাল

ইয়াকুব মেমনের ক্ষমার আর্জিকে সমর্থনমূলক টুইট করে বিতর্কে জড়ানোর পর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিলেন সলমন খান।

Updated By: Jul 27, 2015, 03:53 PM IST
 ইয়াকুব মেমনের হয়ে গলা ফাটিয়ে বিপাকে সলমন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন, সুপ্রিমকোর্টে মেমনের আর্জির শুনানি আগামিকাল

ওয়েব ডেস্ক: ইয়াকুব মেমনের ক্ষমার আর্জিকে সমর্থনমূলক টুইট করে বিতর্কে জড়ানোর পর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিলেন সলমন খান।

প্রকৃত 'অপরাধী' টাইগার মেমনের বদলে ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর বিরোধীতা করে টুইট করেন সলমন। এরপরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিজেপি-শিবসেনার কর্মীরা মুম্বইতে বলিউডের বজরঙ্গি ভাইজানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। সলমনের মন্তব্যকে 'কাণ্ডজ্ঞানহীন' বলে মন্তব্য করেন খোদ তাঁর বাবা সেলিম খান।

বিপাকে পড়ে বিতর্কিত টুইটটি ডিলিট করে দেন সলমান। ফের টুইট করে নিজের মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। যদিও তাঁর টুইটকে ধর্ম-বিরোধী বলার বিরোধীতা করেছেন। জানিয়েছেন সব ধর্মের প্রতিই তিনি সমান শ্রদ্ধাশীল।

অন্যদিকে, আজ সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার ইয়াকুব মেমনের ক্ষমার আর্জির শুনানি হবে।

গত বৃহস্পতিবার, ফাঁসির সাজা রদের আর্জি নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইয়াকুব মেমন।  আগামী তিরিশে জুলাই তার ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীর দাবি, তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের ফাঁসির রায় বেআইনি। ফাঁসির একসপ্তাহ আগে আরও একবার ফাঁসির সাজা রদের আর্জি।

মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী ইয়াকুবকে ইতিমধ্যেই ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মাসের ৩০ তারিখ মেমনের ফাঁসি হওয়ার কথা।  

২১ জুলাই দেশের শীর্ষ আদালতে তার আইনজীবী একই আবেদন করেছিলেন।  কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেয়।  তিরানব্বইয়ের মুম্বই বিস্ফোরণের দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুবের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল টাডা কোর্ট।

ফাঁসি রদের শেষ আর্জি কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করে ইয়াকুব। চলতি মাসের ২১ তারিখ তাও খারিজ হয়ে যায়।  ওই দিনই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান মেমন।  তার আইনজীবীর অভিযোগ, সঠিক পদ্ধতি মেনে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেনি টাডা কোর্ট। এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এক দম্পতির মৃত্যুদন্ড বাতিলের উদাহরণ টেনে ফের সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদন্ড রদের আবেদন করেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার ইয়াকুব মেমনের সঙ্গে দেখা করতে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে যান তার পরিবার।
 

 

.