রেড কার্পেটে ঐশ্বর্য

অবশেষে রেড কার্পেটে হাঁটলেন অ্যাশ। বৃহস্পতিবার অ্যামফার সিনেমা এগেনস্ট এডস ফেস্টিভ্যালে যাওয়ার পর শুক্রবার প্রথমবার কান ২০১২-র রেড কার্পেটে দেখা গেল বচ্চন বহু কে। প্রথমে আনারকলি পরার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অ্যাশ পছন্দ করেন তাঁর ফেভারিট ডিজাইনার এলি স্যাবের ধূসর নীল গ্লিটারি ইভনিং গাউন।

Updated By: May 27, 2012, 02:58 PM IST

অবশেষে রেড কার্পেটে হাঁটলেন অ্যাশ। বৃহস্পতিবার অ্যামফার সিনেমা এগেনস্ট এডস ফেস্টিভ্যালে যাওয়ার পর শুক্রবার প্রথমবার কান ২০১২-র রেড কার্পেটে দেখা গেল বচ্চন বহু কে। প্রথমে আনারকলি পরার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অ্যাশ পছন্দ করেন তাঁর ফেভারিট ডিজাইনার এলি স্যাবের ধূসর নীল গ্লিটারি ইভনিং গাউন। এবারের কান-এ এটা তাঁর ফোর্থ আউটফিট।

রেড কার্পেটে হাঁটার আগে শুক্রবারই রবার্তো ক্যাভিলির সবুজ, নীল ফ্লোরাল প্রিন্ট কাফতানে ফোটোশুট করেন ঐশ্বর্য। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মাতৃত্ব দারুণ উপভোগ করছেন। মাতৃত্ব পরবর্তী সময় তাঁর মেদবহুল চেহারা নিয়ে মিডিয়ার কটাক্ষ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে অ্যাশের সহজ উত্তর, "আমি কোনও দিনই সাইজ জিরো ছিলাম না। এমনকী আমার প্রেগন্যান্সির আগেও অনেকবার মিডিয়া ভেবেছে আমি মা হতে চলেছি। মা হওয়ার পর শরীরে মেদ জমা খুব স্বাভবিক ঘটনা। যে কোনও কারও ক্ষেত্রেই হতে পারে। আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। এটাই বাস্তব। আমি সবসময়, সারা কেরিয়ারে মিডিয়ার এত ভালোবাসা, প্রশংসা পেয়েছি যে এইটুকু সমাললোচনা বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা জলের মতো।"  বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সম্পূর্ণ ভারতীয় পোশাকে স্বমহিমায় কানের 'অ্যামফার সিনেমা এগেনস্ট এডস গালা'-য় গিয়েছিলেন 'ওয়ার্ল্ডস মোস্ট বিউটিফুল ওম্যান।' আবু জানি-সন্দীপ খোসলার ডিজাইন করা অফ সাদার ওপর সোনালি জরির কাজ শাড়ি। সঙ্গে চাইনিজ কলার, ফুল হাতা গোল্ডেন ব্রোকেড ব্লাউজ। চুড়ো করে বাঁধা চুল। চোখে ঘন কাজল। তার আগে অবশ্য অস্ট্রেলিও ডিজাইনার অ্যাঞ্জেলো ক্যাটসপির সাদা-কালো পেঙ্গুইন স্টাইল ম্যাক্সি ড্রেসে ফোটোশুট করেন অ্যাশ।

গতবছর নভেম্বরে মা হওয়ার পর থেকেই বড় জল্পনা দানা বেঁধেছিল এবারের কান-এ ঐশ্বর্যের উপস্থিতি নিয়ে। গেলেও কী পোশাকে তাঁকে দেখা যাবে তাই নিয়ে ছিল হাজারও প্রশ্ন। প্রতি বছর কানের পোশাক হিসেবে পশ্চিমি স্কিন ফিট গাউন পছন্দ করলেও, এই বছর নিজের চেহারার সঙ্গে মানানসই ট্রাডিশনাল পোশাক ও ম্যাক্সি ফ্লোইং ড্রেস নির্বাচন করে অ্যাশ বুঝিয়ে দিয়েছেন সঠিক সময়ে সঠিক পোশাক নির্বাচন করতে তিনি পারেন। আর এখানেই তিনি আলাদা। তার জোরেই আগেই নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালের হাস্যকর ফ্যাশন ওয়াড্রোব থেকে বেরিয়ে হয়েছিলেন ২০১১-র বেস্ট ড্রেসড ওম্যান।

.