প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা বদলাতে নিজের মৃত্যু কাহিনি সাজালেন অভিনেত্রী

কেউ মারা গেলেন, উদ্ধার হল না দেহ। কয়েকবছর পর তিনিই আবার ফিরে এলেন সম্পূর্ণ নতুন চেহারায়। প্লাস্টিক সার্জারির ছোঁয়ায় তিনি তখন অন্য মুখের অধিকারী। এমন ঘটনা আকছাড় ঘটে সিনেমায়। সেই মিরাকল যদি মানুষ নিজের জীবনে চান, তবে তা কেমন হতে পারে? এমনই এক বাস্তব কাহিনি চমকে দিল পুলিসকেও।

Updated By: Jan 9, 2014, 11:17 PM IST

কেউ মারা গেলেন, উদ্ধার হল না দেহ। কয়েকবছর পর তিনিই আবার ফিরে এলেন সম্পূর্ণ নতুন চেহারায়। প্লাস্টিক সার্জারির ছোঁয়ায় তিনি তখন অন্য মুখের অধিকারী। এমন ঘটনা আকছাড় ঘটে সিনেমায়। সেই মিরাকল যদি মানুষ নিজের জীবনে চান, তবে তা কেমন হতে পারে? এমনই এক বাস্তব কাহিনি চমকে দিল পুলিসকেও।

দু`সপ্তাহ আগে হঠাত্ই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন মারাঠি অভিনেত্রী অলকা পুনেওয়ার। সাজিয়েছিলেন নিজের অপহরণ ও খুনের কাহিনি। অবশেষে শুধু ফোনের কললিস্ট ঘেঁটেই তাঁকে প্রেমিকের সঙ্গে চেন্নাই থেকে উদ্ধার করল থানে পুলিস। অলকা পুলিসকে জানিয়েছেন প্লাস্টিক সার্জারি করানোর জন্য তিনি তাঁর মৃত্যুর ঘটনা সাজিয়েছিলেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর অলকার হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই পুলিসের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জয়। তাঁর কিছু আত্মীয় যদিও জানিয়েছিলেন অলকার সম্পত্তি ও তাঁর লাইফ ইন্সিওরেন্সের টাকার ওপর নজর ছিল সঞ্জয়ের, অন্য আত্মীয়রা জানান সঞ্জয় শুধুই অলকার হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন। যদিও দু`সপ্তাহ আগে অলকার হারিয়ে যাওয়ার সময় খোপোলির রাস্তা দিয়ে পুনে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। ওই রাস্তাতেই ফলাসফে ফাটার কাছে অলকার গাড়ির কিছু অংশ পায় পুলিস। তার থেকেই পুলিসের সন্দেহ জাগে অলকার অপহরণের পিছনে সঞ্জয়ের হাত রয়েছে। সঞ্জয় পুলিসকে জানিয়েছিলেন দু`সপ্তাহ আগে নতুন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে তিনি পুনে গিয়েছিলেন।

কিন্তু তারপরই কল রেকর্ড দেখে অলকাকে তাঁর প্রেমিক অলোক পালিওয়ালের সঙ্গে চেন্নাই থেকে খুঁজে বের করে পুলিস। বুধবার তাঁদেরকে মুম্বই নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অলকা নিজেকে প্রেমিকের বাবা(প্লাস্টিক সার্জন), মায়ের কাছে নিকিতা মিশ্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন দুর্ঘটনায় বাবা, মাকে হারিয়েছেন তিনি। সেই দুর্ঘটনাই তাঁর চেহারারও বিকৃতি ঘটিয়েছে। অলোকের বাবার কাছে নিজের চেহারা বদলে দেওয়ার আর্জি জানান অলকা। যদিও অস্ত্রপচার করতে রাজি হননি অলোকের বাবা। কারণ, তাঁর মুখে কোনও ক্ষত ছিল না।

অলকা পুলিসকে জানিয়েছেন তিনি স্বেচ্ছায় অলোকের সঙ্গে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। এরপরই সঞ্জয়ের সঙ্গে অলকাকে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হলে স্বামীর ওপর রাগে ফেটে পড়েন অলকা। বলেন ২৭ ডিসেম্বর বাড়ি ছাড়ার আগে তিনি স্বামীকে বলে গিয়েছিলেন অন্য কাউকে বিয়ে করে নিতে যে তাঁদের দুই সন্তানের দেখভাল করতে পারবেন। সঞ্জয়ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি থানের কোপরিতে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতে চান।

একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দেড় বছর আগে ২৪ বছরের অলোকের সঙ্গে আলাপ ৪৪ বছরেরে অলকার। অলোক চেন্নাইতে থাকতে শুরু করার পর থেকেই মাঝে মাঝেই স্বামীকে মিথ্যে কথা বলে চেন্নাই যেতেন অলকা। নিজের মৃত্যুর কাহিনি সাজাতেই পুনে যাওয়ার রাস্তায় খালি গাড়ি ফেলে চলে যান অলকা ও অলোক।

.