গাফিলতি ছিলই; ঘাতক ট্রেনটি হর্ন-ই দেয়নি, অমৃতসরের দুর্ঘটনায় দাবি সিধুর

বাজির তীব্র আওয়াজের মধ্যেই জলন্ধর-অমৃতসর ডিএমইউ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকা দর্শকদের পিষে দিয়ে চলে যায়

Updated By: Oct 20, 2018, 03:21 PM IST
গাফিলতি ছিলই; ঘাতক ট্রেনটি হর্ন-ই দেয়নি, অমৃতসরের দুর্ঘটনায় দাবি সিধুর

নিজস্ব প্রতিবেদন: অমৃতসরে ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা।

ঘটনার দিন অমৃতসরের অদূরে রাবণ দহনের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী নভজ্যোত সিংয়ের স্ত্রী নভজ্যোত কউর। প্রশ্ন উঠছে ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া নিয়ে। অভিযোগ উঠছে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও অনুষ্ঠানস্থল থেকে হাসপাতালে যেত অস্বীকার করেন নভজ্যোত কউর। এনিয়ে সাফাই দিয়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু। তিনি দাবি করেছেন আহতদের দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-তির ছুড়ে রাবণ দহন নমোর, বিজয়া দশমীতে করলেন 'সবকা সাথ সবকা বিকাশে'র অঙ্গীকার  

এদিকে, শনিবার সকালে অমৃতসরের সিভিল হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান সিধু। সেখানে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পেছনে কারও না কারও গাফলিত ছিল। তবে সেই গাফিলতি ইচ্ছাকৃত নয়। গোটা ঘটনাকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা উচিত। তবে ঘটনাস্থলে আসার আগে হর্ন দেয়নি ঘাতক ট্রেনটি। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে কোনও রাজনৈতিক বাকবিতন্ডা হওয়া উচিত নয়।

অন্যদিকে, ঘাতক ট্রেনের চালককে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। চালকের দাবি, তাঁকে গ্রিন সিগন্যাল ও অল ক্লিয়ার দেওয়া সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। ফলে তিনি বুঝতেই পারেননি জোড়া ফটকের কাছে লাইনের ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো লোক। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল। কেন রেলের লাইনম্যান ওই জমায়েতের আগাম খবর দিতে পারল না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ডিআরএম জানিয়েছেন ওই ঘটনায় রেলের কোনও ভূমিকা নেই। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দশেরায় রাবণ দহনের অনুষ্ঠান চলছিল অমৃতসর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ধোবিঘাটে। কমপক্ষে ৭০০০ লোক রাবণ দহণ দেখতে জড়ো হয়েছিলেন বলে পুলিসের দাবি। এদের মধ্যে অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন ধোবিঘাটের জোড়া ফটক ক্রসিংয়ের কাছে রেল লাইনের ওপরে। কারণ ওখান থেকে দহণের দৃশ্য অনেক ভালো দেখা যায়।

আরও পড়ুন-অমৃতসরে অনুমতি ছাড়াই রাবণ দহনের অয়োজন কংগ্রেসের, বিস্ফোরক অভিযোগ

বাজির তীব্র আওয়াজের মধ্যেই জলন্ধর-অমৃতসর ডিএমইউ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকা দর্শকদের পিষে দিয়ে চলে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে পাশের লাইনে চলে আসে অমৃতসর-হাওড়া এক্সপ্রেস। আচমকা দুর্ঘটনার ঘোর কাটিয়ে অনেকই লাফিয়ে লাইন থেকে সরে যায়। তা না হলে আরও দুর্ঘটনা আরও বড় আকার ধারন করত। ওই দুর্ঘটনায এখনও পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

 

.