অরুণাচল প্রদেশের শেষ প্রান্তে ‘অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ উদ্বোধন সেনার, চিন্তা বাড়ল বেজিংয়ের

এই প্রথম মালবাহী বিমান ওঠানামায় দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তের যোগাযোগ আরও সুগম হল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Updated By: Sep 18, 2019, 03:27 PM IST
অরুণাচল প্রদেশের শেষ প্রান্তে ‘অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ উদ্বোধন সেনার, চিন্তা বাড়ল বেজিংয়ের
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয়নগরের ‘অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)-র রানওয়ে পুনর্নিমাণ করে বুধবার যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন এওসি-ইন-সি- ইস্টার্ন এয়ার কম্যান্ড এয়ার মার্শাল আরডি মাথুর, জিওসি-ইন-সি-ইস্টার্ন লেফ্টান্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। এতদিন এখানে হেলিকপ্টারই ওঠানামা করত। তবে, এই প্রথম মালবাহী বিমান ওঠানামায় দেশের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তের যোগাযোগ আরও সুগম হল। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেনা জানিয়েছে, বিজয়নগরের এএলজি দেশ এবং অরুণাচলের মানুষের জন্য উত্সর্গ করা হল। কিন্তু চিন যে এটি ভাল চোখে দেখবে না তা বলা বাহুল্য। বিজয়নগর হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশের চাংলং জেলার শেষ প্রান্তের গ্রাম। জননির্জন এই অঞ্চলে মোটের উপর পরিবহণ বলতে হেলিকপ্টারই ভরসা। সড়ক পথের কোনও যোগাযোগ নেই। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে যে কোনও ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করতে এই অ্যাডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমান চলাচল হওয়ায় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নেও প্রভাব ফেলবে এই রানওয়ে।

২০১৪ সালে ২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যাক মোহন লেন, থিংবু, বিজয়নগর পর্যন্ত সড়ক স্থাপনে সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। যা অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে নামে পরিচিত। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তেলে বেগুনে জ্বলে বেজিং। চিনা বিদেশমন্ত্রক তরফে জানিয়েছিল, ভারত এমন কোনও কাজ করবে না, যাতে দুই দেশের সম্পর্কে আরও জটিলতা বাড়ে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সীমান্ত ধরে চিন আগেই রাস্তার কাজ শুরু করেছে। দক্ষিণ তিব্বতে তৈরি করা হচ্ছে বিমানবন্দরও।

আরও পড়ুন- দেশের উন্নয়নের জন্য স্বীকৃত ভাষা প্রয়োজন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্ভব নয়, বললেন রজনীকান্ত

জানা যাচ্ছে, অক্টোবরে ভারত সফরে আসছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনফিং। চিন ও ভারত সীমান্তের টানাপোড়েন আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে লাদাখে ভারত ও চিন সেনাবাহিনী মুখোমুখি বিবাদে জড়ায়। যা পরে আলোচনায় মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু ডোকলাম ইস্যুর পর থেকেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে নয়া দিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যে। তার মধ্যে চিনের ‘নাকের ডগায়’ বিমান উড়িয়ে ভারতীয় সেনা পরোক্ষভাবে শক্তিপ্রদর্শন করে দেখাল। এখন দেখার কোন পথে জবাব দেয় বেজিং।

.