রাহুলের মামাবাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত আদতে 'গ্রীষ্ম্যকালীন পিকনিক', কটাক্ষ বিজেপির

'মামার বাড়ি ভারী মজা'- একথা কি আর বলতে পারছেন কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী! কারণ, রাহুলের মামাবাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টিপ্পুনি ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া। গতকালই সোনিয়াপুত্র জানিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর ৯৩ বছর বয়সী মাতামহীকে দেখতে যাবেন সুদূর ইতালিতে এবং সেখানে সেই পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন সময়ও কাটাবেন। রাহুলের ছুটিতে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হতেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের তীর্যক আক্রমণ ধেয়ে আসে রাহুলের প্রতি। রাহুলের এই ছুটি নেওয়াকে 'পিকনিক' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন গরমের ছুটিতে পিকনিকে যেতাম মামাবাড়িতে"। অর্থাত্ ইঙ্গিত স্পষ্ট। এরপরই কৈলাশ আরও বলেন, "আমরা কখনই প্রত্যাশা করতে পারি না যে রাহুল গান্ধী দেশ ও দেশের কৃষকদের সম্পর্কে দায়বদ্ধ থাকবেন। বরং তিনি তাঁর পিকনিককে উপভোগ করার জন্যই মাঝেমধ্যে রাজনীতি করে থাকেন"। উল্টো দিকে বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যের নিন্দা করে কংগ্রেস মুখপাত্র আরএস সূর্যেওয়ালা জানিয়েছেন, পরিবারের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খোঁজখবর রাখা ও যত্ন নেওয়ার শিক্ষাই দেয় ভারতীয় সংস্কৃতি।

Updated By: Jun 14, 2017, 03:27 PM IST
রাহুলের মামাবাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত আদতে 'গ্রীষ্ম্যকালীন পিকনিক', কটাক্ষ বিজেপির

ওয়েব ডেস্ক: 'মামার বাড়ি ভারী মজা'- একথা কি আর বলতে পারছেন কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী! কারণ, রাহুলের মামাবাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টিপ্পুনি ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া। গতকালই সোনিয়াপুত্র জানিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর ৯৩ বছর বয়সী মাতামহীকে দেখতে যাবেন সুদূর ইতালিতে এবং সেখানে সেই পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন সময়ও কাটাবেন। রাহুলের ছুটিতে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হতেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের তীর্যক আক্রমণ ধেয়ে আসে রাহুলের প্রতি। রাহুলের এই ছুটি নেওয়াকে 'পিকনিক' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন গরমের ছুটিতে পিকনিকে যেতাম মামাবাড়িতে"। অর্থাত্ ইঙ্গিত স্পষ্ট। এরপরই কৈলাশ আরও বলেন, "আমরা কখনই প্রত্যাশা করতে পারি না যে রাহুল গান্ধী দেশ ও দেশের কৃষকদের সম্পর্কে দায়বদ্ধ থাকবেন। বরং তিনি তাঁর পিকনিককে উপভোগ করার জন্যই মাঝেমধ্যে রাজনীতি করে থাকেন"। উল্টো দিকে বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যের নিন্দা করে কংগ্রেস মুখপাত্র আরএস সূর্যেওয়ালা জানিয়েছেন, পরিবারের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের খোঁজখবর রাখা ও যত্ন নেওয়ার শিক্ষাই দেয় ভারতীয় সংস্কৃতি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মন্দাসৌরের কৃষক অসন্তোষের ঘটনায় (সহায়ক মূল্য ও কৃষিঋণ মুকুবের দাবিতে) রাহুলকে 'সামনে থেকে' খানিক জঙ্গি মেজাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। তারপরে মহারাষ্ট্র সরকারকেও কৃষি ঋণ মুকুবের সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে। ফলে সম্পূর্ণ বিষয়টিকে কংগ্রেস তাদের কৃতিত্ব হিসাবেই দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাহুলের ছুটি কাটাতে যাওয়ার ঘোষণা তাঁর দলকে বিপাকে ফেলেছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যখন সোনিয়ার নেতৃত্বে বিরোধী জোট প্রস্তুতির আবহ তৈরি হয়েছে তখনই রাহুলের এহেন সিদ্ধান্তে সত্যিই অবাক অনেকে। আর এই 'সুযোগ'টাকেই লুফে নিয়ে তীর্যক আঘাত হেনেছেন বিজেপির বর্গীয়। (আরও পড়ুন- অনলাইনে পশু বাজার)

.