টুইটারে রাহুলের জনপ্রিয়তা আদতে কারসাজি, বিতর্ক রিপোর্টে

Updated By: Oct 21, 2017, 04:57 PM IST
টুইটারে রাহুলের জনপ্রিয়তা আদতে কারসাজি, বিতর্ক রিপোর্টে
সৌজন্যে- এএনআই

নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে রাহুলের কংগ্রেস। ফি দিনই প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে টুইট করছেন সোনিয়া পুত্র। সেই টুইটগুলি  রিটুইটও হচ্ছে প্রচুর। অনেকেই বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীকে টক্কর দিচ্ছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর দাবি সত্যি হলে 'টক্করের সেই ফানুস' অচিরেই চুপসে যাবে। যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে রাহুলের টুইটগুলি রিটুইট হয়েছে, সেইসব অ্যাকাউন্টের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে এএনআই। তাহলে কি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হচ্ছে রিটুইট? 

মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে প্রশংসা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রসঙ্গেই নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে টুইট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। ওই টুইটটি মুহূর্তের মধ্যে ২০ হাজার বার রিটুইট হয়। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩০ হাজার। যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে রিটুইট হয়েছে, সেগুলি বিশ্লেষণ করেছে এএনআই। দেখা যাচ্ছে, সেখানে রাশিয়ান, কাজাখ ও ইন্দোনেশিয়ান শব্দে লেখা রয়েছে অ্যাকাউন্ট মালিকের নাম। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে রিটুইট হয়েছে। সাধারণভাবে কোনও মতের বিশ্বাসী হলে, সেই সংক্রান্ত টুইটই-রিটুইট করা হয়। পাশাপাশি আরও দেখা গেছে, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একটাও টুইট করা হয়নি, হয়েছে শুধুই রিটুইট। 

দেখে নিন এমন কয়েকটি অ্যাকাউন্ট-

https://twitter.com/charlot34583589

https://twitter.com/pkbjdasjyesc557

https://twitter.com/lawannapuchajd9

https://twitter.com/yrlkamcsmc1507

https://twitter.com/madelenegonza14

https://twitter.com/cherilynzagors6

https://twitter.com/alinevyverberg2

https://twitter.com/berniecebenson6

https://twitter.com/lynettacrabtre7

https://twitter.com/bernierogers121

সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তায় নরেন্দ্র মোদীর থেকে কয়েক যোজন পিছিয়ে রাহুল গান্ধী। সেই খামতি ঢাকতেই কেমব্রিজ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছে কংগ্রেস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টাও ছিল এই কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাই। 
 
কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল যোগাযোগের প্রধান দিব্যা স্পন্দানার দাবি, টুইটারে কারও কোনও হাত নেই। টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্ট বা 'বটসে'র ধারণা একেবারেই নতুন নয়। ২০১৩ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, ব্যবসা বাড়াতে অনেক সংস্থাই এই ধরনের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সাহায্য নেয়। এজন্য একটি বিশেষ প্রোগামার ব্যবহার করা হয় বলে জানানো হয়েছিল সেই প্রতিবেদনে। 

আরও পড়ুন, স্বাধীনতা সংগ্রামী স্মরণ অনুষ্ঠানে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না যোগী

.