একসঙ্গে ২টো যুদ্ধের জন্য তৈরি ভারতীয় সেনা, দাবি সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের

পাকিস্তান ও চিন। একসঙ্গে দুটি যুদ্ধ লড়ার জন্যই তৈরি ভারতীয় সেনা। দাবি করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দেশের ভিতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও জওয়ানরা তৈরি বলে দাবি তাঁর। এ দিন কোনও নাম না করে সেনাপ্রধান বলেন, সেনা একইসঙ্গে টু অ্যান্ড হাফ ফ্রন্টে যুদ্ধের জন্য তৈরি।  

Updated By: Jun 8, 2017, 06:39 PM IST
একসঙ্গে ২টো যুদ্ধের জন্য তৈরি ভারতীয় সেনা, দাবি সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের

ওয়েব ডেস্ক : পাকিস্তান ও চিন। একসঙ্গে দুটি যুদ্ধ লড়ার জন্যই তৈরি ভারতীয় সেনা। দাবি করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দেশের ভিতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও জওয়ানরা তৈরি বলে দাবি তাঁর। এ দিন কোনও নাম না করে সেনাপ্রধান বলেন, সেনা একইসঙ্গে টু অ্যান্ড হাফ ফ্রন্টে যুদ্ধের জন্য তৈরি।  

একদিকে পাক উস্কানিতে অশান্ত কাশ্মীর। অন্যদিকে উপত্যকায় সেনার ভূমিকা নিয়ে ঘরেই সমালোচনা। সরকারের ৩ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি। এই অবস্থায় বাহিনীর আত্মবিশ্বাসী মুখ তুলে ধরতে এগিয়ে এলেন সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর দাবি, খুব তাড়াতাড়ি কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার চালিয়ে পাকিস্তান কাশ্মীরের যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। তারা সফল হবে না। পাকিস্তান যখন ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তখন অরুণাচল নিয়ে সুর চড়া করছে চিনও।

জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। পাল্লা দিয়ে চলছে, পাক সেনার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন। বৃহস্পতিবার উরিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে কমপক্ষে পাঁচ জঙ্গি। রুখে দেয় সেনা। গুলিযুদ্ধে আহত হন দুই জওয়ান। এ দিন জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সেনার তত্‍পরতায় ব্যর্থ হয় তারা। দু-পক্ষের গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় তিন জঙ্গি। শহিদ হন এক জওয়ান। উদ্ধার হয় একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র।

কাশ্মীরের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেই রাজস্থান পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে আশঙ্কার নয়া তথ্য। গত সপ্তাহে বারমেরে গ্রেফতার হয় ISI চর দিনা খান। সে বারমেরে একটি ধর্মস্থানের দায়িত্বে ছিল। সূত্রের খবর, জেরায় দিনা খান জানিয়েছে, ISI-এর নির্দেশে ধর্মস্থানে জমা পড়া টাকার একটা অংশ সে নিয়মিত সরিয়ে রাখত। সেই টাকা পরে অন্য ISI চরদের হাতে তুলে দেওয়া হতো। হাওয়ালা নেটওয়ার্কে এখন কড়া নজরদারি। ফলে, ধর্মস্থানে জমা পড়া টাকার কোনও হিসাব না থাকায়, ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে ISI এই রাস্তাই বেছে নিয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন, "মোমোতে মারণরোগের আশঙ্কা, এখনই নিষিদ্ধ করা হোক!"

.