যশ মোকাবিলায় তৈরি NDRF-সেনা-কোস্টগার্ড, উপকূল থেকে মানুষজনকে দ্রুত সরাতে বলল কেন্দ্র

রাজীব গৌবা এদিনের বৈঠকে যে জিনিসটির উপরে জোর দিয়েছেন সেটি হল, যা করতে হবে তা আগে ভাগেই সেরে ফেলতে হবে

Updated By: May 22, 2021, 07:56 PM IST
যশ মোকাবিলায় তৈরি NDRF-সেনা-কোস্টগার্ড, উপকূল থেকে মানুষজনকে দ্রুত সরাতে বলল কেন্দ্র

নিজস্বপ্রতিবেদন: আমপামের ঠিক এক বছর পর রাজ্যের দুয়ারে ফের কড়া নাড়ছে ঘূর্ণিঝড় 'যশ'। আগামী ২৬ মে অর্থাত্ বুধবার সন্ধে নাগাদ তা আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপকূলে। ঝড়ের গতিও হতে পারে একশো কিলোমিটারের উপরে। এরকম এক পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, পুদুচেরি এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য় সচিবদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসল কেন্দ্র।

আরও পড়ুন-দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নয়া চেয়ারম্যান 'অধিকারী বিরোধী' জ্যোর্তিময় কর  

শনিবার ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ওই বৈঠক করেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির(NCMC) চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় মুখ্য সচিব রাজীব গৌবা। ঘূর্ণিঝড়ের(Yaas) গতিপ্রকৃতি ও তা মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

ওড়িশা ও বাংলার দিয়ে ছুটে আসা ঘূর্ণিঝড় যশ সম্পর্কে গৌবাকে দিল্লির মৌসম ভবনের প্রধান জানান, বুধবার সন্ধে নাগাদ ঝড়টি ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে পৌছতে পারে। ঝড়ের গতি হতে পারে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সঙ্গে থাকবে প্রবল বৃষ্টি।

যশ মোকাবিলায় ও মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কী করা হয়েছে তা গৌবাকে অবহিত করার রাজ্যের মুখ্য সচিবরা।  ঝড় কবলিতা মানুষদের জন্য খাবার, পানীয় জল, অত্যাব্শ্যকীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি, বিদ্যুত্ ও টেলি যোগাযোগ যাতে ঠিক থাকে তা নিয়ে কী ব্যবস্থা করা হয়েছে তাও জানানো হয়।

আরও পড়ুন-Madan Mitra-র ভোকাল কর্ডে টিউমার, Speech Therapy-র পরামর্শ চিকিৎসকদের

ওই বৈঠকে থেকে জানা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত ঝড় মোকাবিলায় ৬৫টি এনডিআরএফ(NDRF) টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ২০টি টিম তৈরি রয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য সেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, জাহাজ, বিমান তৈরি রাখা হয়েছে।

রাজীব গৌবা এদিনের বৈঠকে যে জিনিসটির উপরে জোর দিয়েছেন সেটি হল, যা করতে হবে তা আগে ভাগেই সেরে ফেলতে হবে। এতে মৃত্যু ও ক্ষতির পরিমাণ কমবে। একেবারে সমুদ্র উপকূলবর্তি এলাকায় যারা থাকেন তাদের দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি এই দুর্যোগের সময়ে করোনা রোগীদের কথা ভুললে চলবে না। রাজ্যের অন্যান্য অংশ থেকে অক্সিজেন এনে কোভিজ রোগীদের জন্য মজুত করতে হবে।   

.