ড্রোনে নজরদারি, তৈরি NDRF, মজুত করা হচ্ছে খাদ্য, Yaas মোকাবিলায় এলাহি ব্যবস্থা রাজ্যের
উপকূলভর্তি এলাকার ৩ লাখ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার ও ২৫০টি আইসিডিএস সেন্টার ছাড়াও স্কুলকলেজে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আয়লা ও আমপানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গতবার আমপানে তছনছ হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক বিরাট অঞ্চল। এবারও ঘূর্ণিঝড় যশ আঘাত হানতে পারে গোসাবা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার, বাসন্তী, ঝড়খালি সব বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেকথা মাথার রেখে জেলা প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখল নবান্ন। পাশাপাশি, মত্সজীবী ও সমুদ্রে যাতায়াতকারী জাহাজগুলিকে সতর্ক করছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
কী সেই প্রস্তুতি
** পুলিস, কোস্টগার্ড(Coast Guard), এনডিআরএফ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, এসডিও, বিডিওদের ঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
** সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর অঞ্চলে ক্যুইক রেসপন্স টীম, NDRF টিমকে তৈরি রাখা হয়েছে।
** PHE- কে ২ লাখ জলের পাউচ তৈরি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
** বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে ৫০,০০০ বিদ্যুতের খুঁটি মজুত রাখা হয়েছে।
** ২০টি স্যাটেলাইট ফোনে রাখা হবে যোগাযোগ। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হবে ২৫টি ড্রোন।
আরও পড়ুন-গঙ্গায় লাশ! টিউবওয়েলের জলে আর্সেনিক, আতঙ্কে তাই খাচ্ছেন বৈষ্ণবনগরের বহু মানুষ
** মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে আগাম বৈঠক করা হয়েছে।
** মহকুমা স্তরে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম।
** ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘Yaas’, মোকাবিলায় হলদিয়ায় প্রস্তুত Indian Coast Guard
** উপকূলভর্তি এলাকার ৩ লাখ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার ও ২৫০টি আইসিডিএস(ICDS) সেন্টার ছাড়াও স্কুলকলেজে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
** সাধারণ মাননুষকে সতর্ক করতে চলছে মাইকিং।
** উপকূলবর্তি এলাকার হাসপাতালগুলিতে বাড়ানো হয়েছে বেড, মজুত করা হয়েছে ওষুধ। সংশ্লিষ্ট সব দফতরে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।